ভেজালমুক্ত মসলা কেনার কিছু টিপস, জানুন কাজে লাগবে

বাজার থেকে প্রায় প্রতিনিয়তই নানা রকম মসলা কিনতে হয়। কিন্তু আপনি যে মসলা কিনছেন তা কি ভেজালমুক্ত? হয়তোবা জোড় দিয়ে বলতে পারছেন না তাই না। আসলে মশলা শুধু রান্নার স্বাদ বাড়িয়ে দেয় না, তার অনেক ঔষধি গুণও রয়েছে। সঠিক মশলা সঠিকভাবে ব্যবহার করলে তার অনেক উপকার পাওয়া যায়।

 

 

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বর্তমান এই সময়ে আপনি সঠিক আর খাঁটি মশলাই যে কিনছেন, বুঝবেন কেমন করে? কয়েকটি বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতেই হবে। তাহলেই বুঝতে পারবেন আসল আর নকলের পার্থক্য।

 

 

মাংসের ফোড়নে কিংবা ফ্রায়েড রাইস করার সময় একটু দারচিনি অন্য মাত্রা যোগ করে রান্নায়। তবে বাজার থেকে দারচিনি কেনার আগে ভাল করে তাঁর গন্ধ বুঝে নেবেন। অনেক সময় দারচিনির বদলে কাসিয়া বা চিনা দারচিনি বিক্রি করা হয়। চিনা দারচিনি ওজনে হালকা হয়। তার ঘনত্বও কম থাকে। আর গন্ধও হালকা থাকে। আসল দারচিনির গন্ধ খুবই কড়া হয়। নাকের ভরসাতেই তা কেনা ভাল।

 

 

রান্নায় স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি সর্দি-কাশির ক্ষেত্রেও বেশ কাজে দেয় গোলমরিচ। জানেন কি বাজারে অনেক সময় গোলমরিচের সঙ্গে পেপের বীজ মিশিয়ে দেওয়া হয়? গোলমরিচ কেনার ক্ষেত্রে একটু টিপে দেখে নেবেন। যদি মরিচ একটু তৈলাক্ত হয় তাহলে তা আসল। যদি না হয় তাহলে? অবশ্যই নকল।

 

 

ঝালের শৌখিনদের রান্নার ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য। লাল রঙের আড়ালে এই মশলার ক্ষেত্রে ভেজালের হার বেশি। বাজার থেকে যখন লঙ্কার গুড়ো কিনবেন। দেখে নেবেন তার থেকে একটু নিয়ে এক গ্লাস জলে মিশিয়ে দেখবেন। যদি তা জলের সঙ্গে মিশে যায় আর রং পালটে যায় তাহলে তা অবশ্যই আসল।

 

 

ভারতবাসীর জীবনে এই মশলার গুণ অল্প শব্দে ব্যাখ্যা করা কঠিন। হলুদের ক্ষেত্রেও জলে মিশিয়ে আপনি আসল ও নকলের তফাত বুঝতে পারবেন।

 

 

তথ্যসূত্রঃ দি নিউজ নেস্ট