বাঙালির প্রিয় ভাতঘুমের দারুণ পাঁচ উপকারিতা জেনে নিন

বাঙালির কাছে ভাতঘুমের একটা আলাদাই কদর আছে। দুপুরে ভরপেট খাওয়ার পরই ঘুম চলে আসে চোখে। তবে খাওয়াদাওয়ার পর ঘুমোনো কি আদৌ ঠিক, না কি এর কোনও ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে? অনেকের ধারণা, ভাতঘুম ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। এর কারণে হজমের সমস্যা শুরু হয়। আসলে কিন্তু খাওয়া-দাওয়ার পর ভাতঘুম দেওয়ার অভ্যাস ভাল। জেনে নিন এর ফলে ঠিক কী কী লাভ হয় শরীরের?

১) বেশ কিছু গবেষণায় দেখা দিয়েছে, ঘুম কম হলে শরীরে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যেতে পারে। এই হরমোন মূলত স্ট্রেস হরমোন নামেই পরিচিত। এর প্রভাবে মানসিক চাপ গ্রাস করতে পারে। খাওয়ার পর ঘুম পেলে তা না আটকানোই ভাল। এতে মন ও মস্তিষ্ক দুই-ই স্থির এবং শান্ত থাকে। মানসিক চাপও কমে। মনোযোগ বাড়ে।

২) এই অভ্যাস শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। এর ফলে থাইরয়েড, পিসিওডি, ডায়াবিটিসের মতো রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৩) হজমের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ভাতঘুম দিতে পারেন। পেট পরিষ্কার থাকলে পাকা চুল, ব্রণের মতো সমস্যাও দূর হয়।

৪) যারা অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্যও ভাতঘুম বেশ উপকারী।

৫) ভাতঘুমের ফলে হজম ভাল হয়। হজম ভাল হলে বিপাকক্রিয়াও বাড়ে ফলে ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে। তাই ওজন কমাতে হলে ভাতঘুমের অভ্যাস ভাল।

নিয়ম-কানুন

দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার ঠিক পরেই ঘুমোতে যেতে হবে।

এক পাশ ফিরে (ভামাকুকশি) ভঙ্গিতে শুতে হবে।

১০ থেকে ৩০ মিনিটের বেশি ঘুম চলবে না।

দুপুর ১টা থেকে ৩টের মধ্যে ঘুমোতে হবে।