মেয়েদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি হওয়ার কারণ, উপসর্গ এবং যা খাবেন, যা এড়িয়ে চলবেন

খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম, অগোছালো জীবনযাপনের কারণে শরীরে যে সব খনিজের ঘাটতি হয়, তার মধ্যে আয়রন অন্যতম। আয়রনের অভাবেই মানুষ রক্ত স্বল্পতার মতো রোগে ভোগেন। শরীরের স্বাভাবিক কার্যকলাপ বিঘ্নিত হয়। এমনকি হৃদরোগও হতে পারে।

কোন বয়সে হতে পারে?
যে কোনো বয়সেই দেখা দিতে পারে আয়রনের অভাব। তবে শিশু, গর্ভবতী বা ঋতুস্রাব হওয়া নারী এবং কিডনি ডায়ালিসিস রোগীদের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা বেশি চোখে পড়ে। যেহেতু আমাদের শরীর নিজে থেকে আয়রন তৈরি করতে পারে না, তাই আয়রন সমৃদ্ধ খাদ্য বেশি করে খাওয়া উচিত।

আয়রনের ঘাটতি হওয়ার কারণ কী?
আয়রনের ঘাটতি হওয়ার মূল তিনটি কারণ রয়েছে। পর্যাপ্ত আয়রন সমৃদ্ধ খাবার না খাওয়া, আয়রন শোষণে সমস্যা এবং রক্ত ক্ষয়। এর মধ্যে যে কোনো একটি কারণে আমাদের শরীরে আয়রন কমে যায়। যার ফলে রক্ত স্বল্পতা দেখা দেয়।

আয়রনের ঘাটতির উপসর্গ
শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে অত্যধিক ক্লান্তি এবং দুর্বল অনুভূত হয়। শ্বাসকষ্ট হতে পারে, বুকে ব্যথা, মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা, শারীরিক অস্বস্তি দেখা দেয়। নখ দুর্বল হয়ে ভেঙে যেতে পারে, ত্বক অনেক সময় ফ্যাকাশে হয়ে পড়ে। একাগ্রতার অভাব, কোনো কিছু মনে রাখতে না পারার সমস্যাও হয়। সহজেই কোনো ইনফেকশনে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে এই সব উপসর্গ শুধু যে আয়রনের ঘাটতির জন্যই হয় তা কিন্তু নয়, অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণেও হতে পারে।

কী কী খাবার খাবেন?
খাদ্য থেকে দুই প্রকারের আয়রন পাওয়া যায়। হিম আয়রন এবং নন-হিম আয়রন। হার্ভার্ড স্কুল অফ পাবলিক হেলথ অনুসারে, হিম আয়রন নন-হিম আয়রনের চেয়ে শরীরে ভালোভাবে শোষিত হয়। হাঁস-মুরগির মাংস এবং সামুদ্রিক প্রাণীর মাংসে হিম আয়রন পাওয়া যায়। অন্যদিকে নন-হিম আয়রন মেলে উদ্ভিজ্জ খাদ্য থেকে যেমন – গোটা শস্য, বাদাম, বীজ, শাকসবজি, ইত্যাদি। মাংস এবং ফোর্টিফায়েড খাবার থেকেও নন-হিম আয়রন পাওয়া যায়।

যে সব খাবার এড়িয়ে চলবেন
চা, কফি, ওয়াইন, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলি আয়রন শোষণে বাধা দেয়। তাই এই সব খাবার অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো। পরিমিত পরিমাণে খাওয়া স্বাস্থ্যকর।

* এই প্রতিবেদনের সমস্ত তথ্য পরামর্শস্বরূপ। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।