দিনের পর দিন ভেজাল দুধ খাচ্ছেন নাতো? যেভাবে বুঝবেন দুধে ক্ষতিকারক কিছু আছে কিনা

দুধ খেলে অনেক উপকার মেলে। কিন্তু সেই দুধে যদি ভেজাল মেশানো থাকে, তাহলে তো কোনও উপকার মেলেই না, বরং শরীরের নানা ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই দুধে কোনও ভেজাল উপাদান মেশানো আছে কিনা তা একবার পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া উচিত। আর এই কাজটা করবেন কীভাবে? জেনে নিন।

দুধ না খেলে হবে না ভালো ছেলে…। মনে পড়ে চন্দ্রবিন্দুর এই গানটা? একসময় লোকের মুখে মুখে ফেরা এই গানটার এই লাইনটায় সত্যিই কোনও ভেজাল নেই! কারণ বাস্তবিকই যাঁরা দুধ খান না, তাঁরা নিজেদের শরীরের যে কত বড় ক্ষতি করছেন, তা জানেনই না। কারণ চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে দুধ নানা পুষ্টিগুণে ঠাসা। এতে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, বি২, বি১২, পটাশিয়াম এবং সেলেনিয়ামের মতো উপকারী উপাদান, যা নানা ভাবে শরীরের গঠনে কাজে আসে।

বিশেষ করে হাড়কে শক্তপোক্ত রাখতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা নেয়। মূল কথা হল, আজকের দিনে শরীর বাবাজিকে রোগমুক্ত রাখতে দুধের বিশেষ কোনও বিকল্প আছে বলে মনে হয় না। তবে চিন্তার বিষয় হল পুষ্টিগুণে ঠাসা এই পানীয়তেও আজকাল ভেজাল মেশাতে শুরু করেছেন একদল লোভী মানুষ। লাভের অঙ্কের দিকে এই অংশের ব্যবসায়ীদের এমন ঝোঁক যে মানুষের শরীরের সঙ্গে ছেলেখেলা করতেও এদের হাত কাঁপে না। ফলে দুধের সঙ্গে কখনও জল, তো কখনও অন্য কোনও ক্ষতিকারক উপাদান মিশিয়ে দুধ পরিমাণে বাড়ানো হচ্ছে। আর তার সরাসরি প্রভাব পড়ছে আমাদের শরীরের উপর। বাড়ছে নানা রোগ-ব্যাধির খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা।

দিনের পর দিন ভেজাল দুধ খেলে কী কী রোগের প্রকোপ বাড়ে?

এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে দুধে মিশে থাকা নানা ক্ষতিকর উপাদান নানাভাবে শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন বাড়ে, তেমনই হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। শুধু তাই নয়, ভেজাল দুধ খাওয়ার কারণে ক্যানসারের মতো মারণ রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা থাকে।

সেই সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া এবং কিডনির ক্ষতি হতে পারে। এই কারণেই তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারে বারে আমাদের দেশের সরকারকে এই নিয়ে সাবধান করেছে। তাদের মতে সময় থাকতে থাকতে যদি দুধে নানা খারাপ উপাদান মেশানো বন্ধ না হয়, তাহলে এদেশে নাকি ২০২৫ সালের মধ্যে নানা মারণ রোগের প্রকোপ চোখে পড়ার মতো বাড়বে। তাই এখনই সাবধান হওয়াটা জরুরি, না হলে আমার-আপনার ঘোর বিপদ!।

তাহলে কি দুধ খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে? তা কেন! বাজারজাত সব দুধেই যে ভেজাল মেশানো থাকে, তা নয়। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে একবার পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া উচিত যে দুধে বেজাল মেশানো আছে কিনা। আর এই পরীক্ষা বাড়িতেই করা সম্ভব। কীভাবে করবেন, তাই ভাবছেন নিশ্চয়ই? চলুন জেনে নেওয়া যাক…

দুধে জল মেশানো আছে কিনা বোঝার উপায়
দুধে জল মেশানোটা আজকের দিনে জলভাত হয়ে গেছে। অধিকাংশই এই কাজটি করে থাকেন। এতে করে শরীরের তেমন একটা ক্ষতি না হলেও দুধের পুষ্টিগুণ যে কমে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তাই এমন ধরনের ভেজাল দুধ খেয়েও কোনও উপকার মেলে না।

দুধে জল মেশানো আছে কিনা, তা বোঝার সহজ একটা উপায় আছে। কী উপায়? ছোট বটিতে অল্প পরিমাণে দুধ নিয়ে কোনও ঢালু জায়গায় ফেলুন। দুধ যদি খুব তাড়াতাড়ি গড়িয়ে যায়, তাহলে জানবেন তাতে একটু বেশি মাত্রাতেই জল মেশানো আছে। কারণ খাঁটি দুধ এত তাড়াতাড়ি গড়িয়ে যায় না।

আরেকভাবেও দুধে জল মেশানো আছে কিনা, তা বুঝে ফেলা সম্ভব। এক্ষেত্রে অল্প একটু দুধ চকচকে, ঢালু জায়গায় ফেলুন। দুধে যদি জল মেশানো না তাকে, তাহলে তা দুধ গড়িয়ে যাওয়ার সময় দাগ ছেড়ে যাবে। আর যদি দুধ কম, জল বেশি থাকে, তাহলে কোনও দাগই হবে না।

দুধে ডিটারজেন্টও মেশানো থাকে

বলেন কী মশাই! দুধে ডিটারজেন্টও মেশায় এই শয়তানরা? লোভের বশে মানুষ যে অনেক কিছুই করতে পারে, তা আর কী বলার অপেক্ষা রাখে! হ্যাঁ একথা ঠিক যে কিছু লোভী ব্যবসায়ী এই কাজটিও করে থাকেন। তবে একটা সহজ উপায়ে দুধে এমন ক্ষতিকারক উপাদান মেশানো আছে কিনা, তা বুঝে ফেলা সম্ভব।

এক্ষেত্রে ৫-১০ মিলি দুধে সম পরিমাণে জল মিশিয়ে ভালো করে একটু নাড়িয়ে নিন। মিনিট খানেক বাদে যদি দেখেন দুধের উপরি অংশে সাবানের ফেনার মতো তৈরি হয়েছে, তাহলে মনে কোনও সন্দেহ রাখবেন না যে আপনি ভেজাল দুধ কিনে এনেছেন।

ভেজাল দুধে স্টার্চের সন্ধানও মেলে

২-৩ মিলি লিটার দুধে ৫ মিলি লিটার জল মিশিয়ে ফোটান। মিনিট দুয়েক ফোটানোর পর দুধটা ঠান্ডা করে নিয়ে তাতে ২-৩ ড্রপ আয়োডিনের টিংচার মেশান। এই সময় যদি দুধের রং বদলে নীল হয়ে যায়, তাহলে জানবেন দুধে স্টার্চ মেশানো আছে।

দুধে অনেকেই মেশান ইউরিয়া

একেবারে ঠিক শুনেছেন! ভেজাল দুধে ইউরিয়ারও সন্ধানও পাওয়া যায়। তাহলে বুঝতেই পাছেন এমন সব উপাদান শরীরে প্রবেশ করলে কতটাই না ক্ষতি হয় আমাদের দেহের! তাই দুধ কিনে আনার পর তাতে ইউরিয়া মেশানো আছে কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়াটা জরুরি।

একটা পাত্রে অল্প পরিমাণে দুধ নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো সোয়াবিন পাউডার মিশিয়ে নিন। কিছু সময় পর মিশ্রণটা ভালো করে নাড়িয়ে নিয়ে তাতে একটা লিটমাস পেপার চোবান। যদি দেখেন লিটমাস পেপারটা ধীরে ধীরে নীল রঙের হয়ে যাচ্ছে, তাহলে মনে কোনও সন্দেহ রাখবেন না যে আপনি যে দুধ কিনে এনেছেন, তাতে ইউরিয়া মেশানো রয়েছে।

Disclaimer: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Realted Tag:

Marketa Vondrousova Wimbledon Shoe Brush Body Pillows Pillow Cubes Purple Pillow Sanitation Towel Superfeet Insole The Woman king Showtimes Top Women Boxers in the World Electric toothbrush charger Artificial Grass for Dogs Flare Leggings 4K Laptops