



সম্পর্ক! ছোট্ট একটা শব্দ। কিন্তু এর অভিঘাত খুব গভীর। এই পৃথিবীতে জন্ম নেওয়ার পর থেকেই নানা জনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মা-বাবার সঙ্গে সম্পর্ক, ভাইবোনের সঙ্গে সম্পর্ক, অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে সম্পর্ক। কিছু সম্পর্ক হয় চিরস্থায়ী। কিন্তু সম্পর্ক খুব জটিল এবং ভঙ্গুর। তাই ভালোবাসার গভীরতা থাকা স্বত্তেও অনেক সময় ঠুনকো অভিমানের জন্য সম্পর্ক ভেঙে যায়।




কিছু সম্পর্ক ভেঙে গেলেও পড়ে জোড়া লেগে যায়। অনেক ক্ষেত্রে আবার সেটাও হয়না। তখন খুব মন খারাপ লাগে। আমরা চাই সবার সঙ্গে আপনার সম্পর্কের বন্ধন সুদৃঢ় হোক। সব সম্পর্কেই খারাপ দিন আসে। মজবুত সম্পর্ক সেই খারাপ সময় পার করে চলে যায়। তাই বন্ধন সুদৃঢ় করতে একটু-আধটু মিথ্যে বললে দোষ হয় না। বরং সংসার সুখের হয় মিথ্যের গুণে! তবে শুধু দম্পতিই নয়, এই ৮ মিথ্যে মজবুত রাখতে পারে প্রেমের সম্পর্ককেও! দেখে নিন সেগুলো কী-




১. খারাপ হলেও বলুন রান্না দারুণ হয়েছে – হতেই পারে, সঙ্গী বা সঙ্গিনীর রান্না কারও পছন্দ হল না। সে ক্ষেত্রে সত্যিটা বললে অন্যজনের খারাপ লাগবে। তাই প্রথমবার মিথ্যে বলাই ভালো! তবে এটা রোজকার ব্যাপার হলে তখন এক রান্না প্রতি দিন ভালো লাগছে না- এ ভাবে কাজ সারা যায়!




২. সঙ্গিনী বা সঙ্গির প্রশংসা – এখনও সমাজ স্থূলকায় ব্যক্তিদের নিয়ে পরিহাস করেন। তাই সঙ্গী বা সঙ্গিনীর চেহারা নিয়ে সরাসরি কথা না বলাই ভালো হবে!
৩. দারুণ লাগছে দেখতে – একে অন্যের প্রশংসা সম্পর্কের ভিত মজবুত রাখে। তাই সঙ্গী বা সঙ্গিনী কিছু পরলে, সেটা তাঁকে না মানালেও সত্যিটা বলা যাবে না!




৪. উপহার দিলে ভীষণ ভালো হয়েছে বলুন – সঙ্গী বা সঙ্গিনী কোনও উপহার দিলে, সেটা পছন্দ না হলেও তার প্রশংসা করাই নিয়ম, এ ক্ষেত্রে কলহ এড়ানো যায়!




৫. ভালো না লাগলেও ছবি দেখুন – সঙ্গী বা সঙ্গিনী কোনও ছবি একসঙ্গে দেখতে চাইলে, সেটা যত অপছন্দই হোক, বলা ঠিক হবে না। বরং এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখানোই ঠিক হবে!
৬. পরিবারের প্রশংসা – সঙ্গী বা সঙ্গিনীর পরিবারের ব্যক্তিদের কাউকে অপছন্দ হতেই পারে। কিন্তু তিনি যদি ঘরোয়া কোনও অনুষ্ঠানে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে ফিরে এসে তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিন্দে না করাই ঠিক হবে। না হলে তাঁকে অপমান করা হয়!




৭. হক কথা – কখনও কখনও সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সব কথা সঠিক হয় না। কিন্তু পরিস্থিতি বুঝে তা এড়িয়ে গিয়ে উল্টোটা বলাই বুদ্ধিমানের কাজ!
৮. রসিকতার প্রশংসা – সঙ্গী বা সঙ্গিনীর কোনও রসিকতায় অন্যের হাসি না-ই পেতে পারে! কিন্তু সেটা প্রকাশ করলে তাঁর বুদ্ধিমত্তাকে অপমান করা হয়। তাই রসিকতায় সমর্থন জানিয়ে হাসা-ই ভালো!



