সন্তান অবাধ্য-বদরাগী? এই ভুলগুলি ওর সামনে করেন না তো?

প্রায়শই দেখা যায় অভিভাবকরা মেয়েদেরকে দিয়ে ঘরের সমস্ত কাজ করান, কিন্তু ছেলেদের কিছু করান না। অনেক বাড়িতেই দেখা যায় এই সংস্কৃতি। সেক্ষেত্রে আপনিও যদি আপনার ছেলের সঙ্গেও এমনটাই করেন তাহলে এটি তাকে আগামিদিনে দায়িত্বজ্ঞানহীন করে তুলতে পারে।

সন্তান লালন-পালন করা ও তাদের সঠিকভাবে বড় করে তোলা খুবই কঠিন কাজ। সন্তান বড় হয়ে কী হবে বা সে অন্যদের সঙ্গে কেমন আচরণ করবে, তা নির্ভর করে কীভাবে তাকে বড় করা হচ্ছে তার ওপর। শিশুদের লালন-পালনে শিথিলতা যেমন তাদের নষ্ট করে দিতে পারে, একইসঙ্গে অতিরিক্ত কঠোরতাও শিশুর মানসিকতায় খারাপ প্রভাব ফেলে। এখানে তেমনই কিছু ভুল-ত্রুটি নিয়ে আলোচনা করা হল, যেগুলি সন্তানদের বড় করার ক্ষেত্রে প্রায় প্রত্যেক বাবা-মাই করে থাকেন।

দায়িত্ব না দেওয়া – প্রায়শই দেখা যায় অভিভাবকরা মেয়েদেরকে দিয়ে ঘরের সমস্ত কাজ করান, কিন্তু ছেলেদের কিছু করান না। অনেক বাড়িতেই দেখা যায় এই সংস্কৃতি। সেক্ষেত্রে আপনিও যদি আপনার ছেলের সঙ্গেও এমনটাই করেন তাহলে এটি তাকে আগামিদিনে দায়িত্বজ্ঞানহীন করে তুলতে পারে।

আবেগ প্রকাশের সুযোগ না দেওয়া – অনেককেই বলতে শোনা যায় যে ছেলেরা নাকি কাঁদে না। এমনটা যদি আপনিও ভাবেন, তাহলে কিন্তু ভুল করছেন। এতে ছেলেটি নিজের মনের কথা প্রকাশ করতে পারবে না, যা তার মনে বড় প্রভাব ফেলে। তাই যখনই আপনার ছেলে কোনও বিষয়ে রেগে যাবে বা দুঃখিত হবে, তখন তাকে তার অনুভূতি প্রকাশের সুযোগ দিন। তার সঙ্গে কথা বলুন ও তার মনের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন।

ছেলেকে ভাল না বাসা – অনেক পরিবারেই কন্যা সন্তানদের খুব আদরে বড় করা হয়, কিন্তু অতটা খেয়াল পুত্র সন্তানদের ওপরে দেওয়া হয় না। বা পুত্র সন্তানের প্রতি ভালবাসা থাকলেও তা প্রকাশ করা হয় না। কিন্তু এটা মনে রাখবেন, কন্যাদের যেমন আপনার ভালবাসা এবং স্নেহ প্রয়োজন, তেমনই পুত্রদেরও আপনার ভালবাসা প্রয়োজন। অনেক সময় সে ভান করবে যে তার সেসব দরকার নেই, কিন্তু সেটা বাস্তব নয়। আসলে সেও চায় তার বাবা-মা তাকে জড়িয়ে ধরে ভালোবাসুক-আদর করুক।

মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতে না দেওয়া – অনেক সময় বাবা-মায়েরা ছেলেদের মেয়েদের সঙ্গে কথা বলা থেকে বিরত রাখেন এবং তাদের নিজের বন্ধুদের সঙ্গেই খেলা ও কথা বলার পরামর্শ দেন। কিন্তু এমন অভ্যাস কিন্তু আপনার ছেলেকে লাজুক করে তুলতে পারে। আর শুধু তাই নয়,পরবর্তী সময় সে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে ভয় ও বিব্রত বোধও করতে পারে।

ছেলের ইচ্ছায় সমর্থন না দেওয়া – কোনও কোনও সময় দেখা যায় সমাজে ছেলেরা সাধারণত যে কাজগুলি করে, বাবা মায়েরাও নিজেদের ছেলেদের সেই কাজ করতেই বাধ্য করেন। এতে সন্তানের মনে চাপ পড়ে। তার চেয়ে সন্তানের যে কাজে রুচি রয়েছে তাকে সেটাই করতে দিন, তাতে তার মানসিক বিকাশ ভাল হবে।

Realted Tag:

Marketa Vondrousova Wimbledon Shoe Brush Body Pillows Pillow Cubes Purple Pillow Sanitation Towel Superfeet Insole The Woman king Showtimes Top Women Boxers in the World Electric toothbrush charger Artificial Grass for Dogs Flare Leggings 4K Laptops