বিয়ে এমন একটি সামাজিক বন্ধন, যা সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে শারী’রিক সম্পর্কের অনুমতি দেয়। পাশ্চাত্যের দেশগুলো লিভ টুগেদার প্রথাটি ব্যাপকভাবে প্রচলিত। আমাদের দেশে আজকাল এ প্রথার উদাহরণ দেখা দিলেও তা সামাজিকভাবে গৃহীত নয়। আমাদের দেশের সমাজ লিভ টুগেদারকে স্বীকৃতি দেয়নি। ফলে এ সম্পর্কে শা’রীরিক সম্পর্ক বিয়ের পূর্বে শা’রীরিক সম্পর্ক হিসেবেই গণ্য করা হয়। পৃথিবীর সব ধর্মেই বিয়ের আগে শা’রীরিক সম্পর্ককে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রয়েছে কড়া নিষেধ। এমনকি এ কাজ যে করবে তার জন্য নির্ধারিত রয়েছে কঠিন শাস্তি। এই বিধানের পেছনে নিশ্চয়ই কারণ রয়েছে। আর কারণটি হলো সামাজিক, ধর্মীয় ও মানসিক অবক্ষয় থেকে নিজেকে দূরে রাখা।
আমাদের সমাজে এমন অনেক পুরুষ রয়েছেন যারা শুধুমাত্র নারীদেহ ভোগ করার উদ্দেশ্যেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং কাজ হাসিল হয়ে গেলে সম্পর্কের দায়ভার নিতে চান না। নারীরাও যে এমন করে না তা নয়, তবে তুলনামূলকভাবে এমন নারীর সংখ্যা কম। আশংকার ব্যাপার হচ্ছে আজকাল অনেক উঠতি বয়সী মেয়েই এই ধরণের শারী’রিক সম্পর্ককে আধুনিকতা মনে করে থাকে। অথচ বিয়ের আগে শারী’রিক সম্পর্কের ফলে যে সমস্যা দেখা দেয়, তা পোহাতে হয় নারীদেরকেই! মোদ্দাকথা হলো, বিয়ের আগে শারী’রিক সম্পর্ক নারীদের ঠেলে দিতে পারে ঝুঁকির মুখে, তাদের জীবনে ডেকে আনতে পারে নানাবিধ মারাত্মক সমস্যা। তাই সাবধান হোন এবং জেনে নিন অনাকাঙ্খিত সমস্যাগুলো সম্পর্কে।
অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ:
বিয়ের আগে শা’রীরিক সম্পর্কের সবচেয়ে ভয়াবহ যে সমস্যাটি হতে পারে তা হলো অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ। নিরোধক ব্যবহারের পূর্ব পরিকল্পনা না থাকা, আবেগের বশে হঠাত্ করেই যৌ’ন সম্পর্ক করা ইত্যাদি এর অন্যতমত কারণ। শা’রীরিক সম্পর্কের চিহ্ন ধারণ করে সাধারণত মেয়েরাই। কোনো মেয়ের শা’রীরিক সম্পর্ক হয়েছে কি না তা ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে সনাক্ত করা যায়, কিন্তু ছেলেদের যায় না। একইভাবে গর্ভধারণের যাবতীয় সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয় শুধু মেয়েদেরই। এর ফলে পরিবার, সমাজ এবং নিজের কাছে অপরাধী হতে হয় নারীদের।
ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভপাত:
বিয়ের আগে শা’রীরিক সম্পর্কের ফলে গর্ভধারণ করে ফেললে তখন গর্ভপাত করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। গর্ভপাত একটি ঝুঁকিপূর্ণ প্রক্রিয়া। এতে যেমন শারী’রিক ক্ষতি হয় তেমনি মানসিক ক্ষতির সম্মুখীনও হতে হয়। গর্ভপাতের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণসহ নানা ধরনের শা’রীরিক সমস্যা হতে পারে। এর দীর্ঘমেয়াদী কুফলও রয়েছে। যেমন পরবর্তীতে গর্ভধারণে সমস্যা হওয়া বা গর্ভধারণ করতে না পারা ইত্যাদি। প্রথম সন্তান জন্মদানের আগে গর্ভপাতের ঘটনা ঘটলে পরবর্তীতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সন্তান ধারনে সমস্যা দেখা দেয়। গর্ভপাতের মানসিক ক্ষতিও কম নয়। সন্তান হারিয়ে অনেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এমনকি অনেকে বিকারগ্রস্ত পর্যন্ত হয়ে পড়ে।
জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল ও অন্যান্য ঝুঁকি:
বিয়ের আগে শা’রীরিক সম্পর্কের কারণে অনেকেই জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল বা অন্যান্য ওষুধ গ্রহণ করে থাকে। অনবরত জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল গ্রহণ অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ রোধ করলেও ডেকে আনতে পারে মারাত্মক সব সমস্যা। এর মধ্যে অন্যতম হলো সন্তানধারণের ক্ষমতা হারানো। প্রথম সন্তান জন্মের আগেই দীর্ঘদিন পিল গ্রহণের ফলে পরবর্তীতে গর্ভধারণে ঝুঁকি হতে পারে, হতে পারে বারবার গর্ভপাতের সমস্যা। এছাড়া হরমোনের সমস্যা, মুটিয়ে যাওয়া, খাবারে অনীহা,সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
অপ্রাপ্ত বয়সে শা’রীরিক সম্পর্কে জড়ানোর ঝুঁকি:
বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে শা’রীরিক বিষয়াবলির প্রতি আকর্ষণ জন্মায়। ফলে প্রেমের সম্পর্কে কোনো কিছু না ভেবেই শা’রীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা তাদের মধ্যে দেখা যায় বেশি। কিন্তু অপরিণত বয়সে শা’রীরিক সম্পর্কের পরিণতি হতে পারে মারাত্মক। এর ফলে হতে পারে যৌ’নসংক্রমণ, ক্যানসারের মতো ভয়াবহ সব রোগ। বিশেষ করে কমবয়সী মেয়েরা থাকে হুমকির মুখে। জরায়ুমুখ সংক্রমণ ও জরায়ুমুখ ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে সর্বোচ্চ।
মানসিক ভীতি:
বিয়ের আগে শা’রীরিক সম্পর্ক মানে প্রথমবারের মতো যৌ’ন সম্পর্ক স্থাপন। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এই কাজটি প্রেমিক যুগলেরা করে থাকে লুকিয়ে, যা পরবর্তীতে একজন নারীর জন্য মানসিক ভীতি বা বিকারের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষ করে অনেক ক্ষেত্রেই প্রেমিকেরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক প্রেমিকাকে চাপ প্রয়োগ করে মিলিত হয়ে থাকে। পরে সম্পর্কটি ভেঙে গেলে এসব অনেক মেয়ের ওপর এমন মানসিক চাপ ফেলে, যা ক্রমশ বিকারে রূপ নেয়। যেমন শা’রীরিক সম্পর্কে অনীহা বা ভীতি, বিবাহভীতি, পুরুষদের প্রতি ঘৃণা বা ভয় ইত্যাদি। এর ফলে যেমন প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে, তেমনি ভাঙন আসতে পারে বিয়ের সম্পর্কেও।
বিয়ের পর দাম্পত্যে সমস্যা:
বিয়ের আগে প্রেমিকের সাথে শা’রীরিক সম্পর্কে জড়ালে দাম্পত্যজীবনেও দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। নারীরা হতে পারেন স্বামীর অবিশ্বাসের পাত্র। এমনকি প্রেমিকের সাথে বিয়ে হলেও তিনি করতে পারেন নানা রকমের দোষারোপ, করতে পারেন চরিত্র নিয়ে সন্দেহ। ঝগড়ার সময় হয়তো কথায় কথায় বলে বসতে পারেন যে, তার সাথে যেহেতু বিয়ের আগে শা’রীরিক সম্পর্ক ছিল এমনি হয়তো আরো অনেকের সাথেই ছিল। মোটকথা, দাম্পত্যের প্রতিটি পদে নারীকে শুনতে হতে পারে নানা রকমের কটু কথা।
দাম্পত্যে আকর্ষণ হারানো:
অনেক ভালোবাসার সম্পর্ক পায় বিয়ের পরিণতি। যেহেতু স্বামীর সঙ্গে বিয়ের আগে থেকেই শা’রীরিক সম্পর্ক থাকে, তাই অনেকেই দাম্পত্যজীবনে হারিয়ে ফেলতে পারেন আকর্ষণ। স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের কাছ থেকে নতুন কিছু পাবার থাকে না বলে বিয়ের সম্পর্কে বাজতে পারে ভাঙনের সুর। অনেকে বাগদান বা আংটি বদল সম্পন্ন করে একটি দৃঢ় বন্ধন তৈরি হয়েছে ভেবে শারী’রিক সম্পর্কে জড়িয়ে যান। বাগদানের পর বিয়ে ভাঙার ঝুঁকি তো থাকেই, সাথে রয়ে যায় দাম্পত্য আকর্ষণহীন হয়ে যাবার শঙ্কাটাও।
সামাজিক লাঞ্ছনা:
বিয়ের আগে শারী’রিক সম্পর্কের কথা জানাজানি হলে নারীরা হন নানা রকম লাঞ্ছনা-গঞ্জনার শিকার। সমাজ তাকে অপরাধীর দৃষ্টিতে দেখে। তার জীবন হয়ে ওঠে বিষময়। অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ করলে এবং সেটার কথা জানাজানি হলে ফলাফল হয় ভয়াবহ। মেয়েটি সামাজিকভাবে হয়ে যায় একঘরে। পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব সকলেই দূরে চলে যায়, তাকে পাপীর দৃষ্টিতে দেখে। ফলে সুষ্ঠুভাবে বাকি জীবন কাটানো অসম্ভব হয়ে যায়, জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিসহ।
শারী’রিক সম্পর্ক সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়
যৌ’ন জীবন বিবাহিত জীবনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। দাম্পত্য সম্পর্কের স্বাস্থ্য এর উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। এ জন্য যেমন সুস্থ যৌ’নতা সম্পর্কে পরিমিতি জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। এতদিন আমাদের বেশির ভাগ মানুষেরই একটা ধারণা ছিল যে, যৌ’ন সম্পর্ক থেকেই ছড়াতে পারে নানা রকম সংক্রমণ। কিন্তু সম্প্রতি একদল ব্রিটিশ গবেষকদের দাবি, সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে যৌ’নতা।
ইংল্যান্ডের স্টার্লিং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক দাবি করেছে, যৌ’ন সম্পর্কই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। তাঁরা প্রায় ছয় হাজার জল-মাছির উপর দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।
এই ব্রিটিশ গবেষকরা জানাচ্ছেন, জল-মাছিরা দু’ভাবে প্রজনন করে। এক, তারা ক্লোন তৈরি করে এবং দুই, যৌ’ন প্রজনও চালিয়ে। গবেষকরা লক্ষ্য করেছেন, ক্লোনের ফলে জন্ম নেওয়া মাছিগুলিকে কিছু সংক্রামক পরজীবীর সংস্পর্শে রাখলে সেগুলি দ্রুত সংক্রমিত হয়। কিন্তু, যৌ’ন জননের ফলে জন্ম নেওয়া মাছিদের ওই পরজীবীদের সংস্পর্শ রাখা হলে দেখা যায়, তারা সহজে সংক্রমিত হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, সংক্রমণকে প্রতিরোধ করেই তারা বেঁচে আছে।
ব্রিটিশ গবেষক স্টুয়ার্ট অল্ড জানিয়েছেন, সুস্থ যৌ’নতার জন্য চাই যথাযথ উদ্দম এবং শা’রীরিক স্ফূর্তি। আর এই স্ফূর্তি ও উদ্দমের জন্য প্রয়োজন সুষম আহারের। তাঁর মতে, প্রকৃত কোনও সমস্যা না-থাকলে যৌ’ন শক্তি বৃদ্ধির জন্য কোনও রকম ওষুধেরই প্রয়োজন হয় না। আর সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে যৌ’নতার বিকল্প কিছু হতে পারে না। গবেষণালব্ধ ধারণা অনুযায়ী, প্রজননের স্বাভাবিক বিধি অর্থাৎ যৌ’নতা-পরবর্তী প্রজন্মকে অনেক বেশি সুরক্ষিত রাখে।
তবে স্টুয়ার্ট অল্ড বা স্টার্লিং বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণার সঙ্গে একমত হতে পারেননি বিশ্বের অনেক বিজ্ঞানী। তাঁদের মতে অনিয়ন্ত্রিত এবং অসুরক্ষিত যৌ’নতা যে কোনও সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে যৌ’নতাই সুস্থ এবং স্বাভাবিক পদ্ধতি। তবে আধুনিক বিজ্ঞান সমৃদ্ধ যুগে তা কখনওই একমাত্র উপায় নয়।
শা’রীরিক সম্পর্ক বিষয়ক গবেষণায় চমকপ্রদ তথ্য
সময়ের অগ্রগতির ধারায় প্রতিনিয়ত উন্নত হয়ে চলেছে চিকিৎসা বিজ্ঞান। আর এই বিজ্ঞান বিভিন্ন সময় চিকিৎসার নতুন দিক উন্মোচন করেছে আমাদের সামনে, যা হচ্ছে বিজ্ঞানের বিরামহীন গবেষণার ফল। আর এরই ধারাবাহিকতায় কয়েকটি গবেষনায় জানা গিয়েছে নতুন কিছু বিষয়। বিজ্ঞানের ব্যাপারে আমাদের সবারই একটা ভুল ধারণা হলো, বিজ্ঞানীরা শুধুমাত্র নীরস এবং খটোমটো বিষয় নিয়েই কাজ করেন। তা কিন্তু সত্যি নয়। একদম জীবনের সাথে জড়িত বিষয়বস্তু নিয়ে প্রচুর গবেষণা হয়। উদাহরণস্বরূপ, মানব-মানবীর প্রেমের সম্পর্কের ব্যাপারটা নিয়েও যে কতটা গবেষণা হয় তা কি আমরা জানি? এই বছরেই হয়ে গেছে শা’রীরিক সম্পর্কের ওপর বেশ কিছু গবেষণা এবং তা থেকে বের হয়েও এসেছে বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য।
ঘরের কাজ মি’লনে উৎসাহ কমিয়ে দেয়:
পুরুষেরা বাড়িতে থাকলে কি করে? ঘরের কাজকর্ম করেন, এমন পুরুষ আসলেই একটু কম। তবে বাড়িতে রান্নাবান্না বা বাসনপত্র ধোয়ার কাজ করেন যেসব পুরুষ, মিলনের ক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহন কম দেখা যায়।
বাচ্চা জন্ম দেবার পর অপেক্ষা করেন নারীরা:
সন্তান জন্ম দেবার ছয় সপ্তাহ পর থেকে শারী’রিক সম্পর্ক স্থাপন নিরাপদ- বলে দেন ডাক্তাররা। কিন্তু নারীরা সাধারনত আরও বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করেন। একটি গবেষণায় দেখা যায়, ৪১ শতাংশ নারী জন্মদানের ছয় সপ্তাহের পর মিলনে অংশগ্রহণ করেন, ৬৫ শতাংশ নারী করেন আট সপ্তাহ পর। ১২ সপ্তাহের মাঝে ৭৮ শতাংশ এবং ছয় মাসের মাঝে ৯৪ শতাংশ নারী স্বাভাবিক মিলনে অংশ নিতে শুরু করেন।
অপেক্ষা করেন পুরুষেরাও:
পিতৃত্ব লাভের পরে পুরুষের যৌ’নজীবনেও আসে পরিবর্তন। ক্লান্তি, স্ট্রেস এবং বাচ্চার খেয়াল নিতে গিয়ে ঘুম কম হওয়ার মাঝে মিলনে উৎসাহ কমে যায় তাদেরও। সুতরাং বেশ কিছুটা সময় তারা নিরাসক্ত থাকেন।
মাথাব্যাথা কমায় যৌ’নমিলন:
যৌ’ন মিলনের যে উপকারিতা আছে এটা পুরনো তথ্য। ব্যায়াম এবং মন ভালো করার একটি ভালো উপায় হলো যৌ’ন মিলন, এটা এখন প্রমানিত। কিন্তু মাথা ব্যাথা কমাবে কি করে? মিলনের ফলে মস্তিষ্কে এন্ডর্ফিন নিঃসৃত হয়, যার ফলাফলস্বরূপ মাইগ্রেন জাতীয় মাথাব্যাথার এক তৃতীয়াংশ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়।
তরুণদের যৌ’নজীবন আসলে তেমন একটা অনৈতিক নয়:
বিশেষত পাশ্চাত্যের তরুন তরুণীদের ব্যাপারে সবারই ধারণা যে তারা মিলনের ব্যাপারে তেমন একটা বাছবিচার করে না এবং তাদের স্থায়ী কোন সঙ্গী/সঙ্গিনী থাকে না। এই ধারণা অমূলক। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের মাঝে জরিপ চালিয়ে দেখা যায়, ৩১ শতাংশেরই এর আগের বছরে মাত্র একজন সঙ্গী ছিলো। অর্ধেক মানুষ মত দেয় যে ১৮ বছর বয়সের পরে দুই বা ততোধিক সঙ্গী ছিলো তাদের।
ব্যায়ামের বিকল্প যৌ’ন মিলন:
পুরুষের ক্ষেত্রে মিনিটে গড়ে ৪.২ ক্যালোরি এবং নারীর ক্ষেত্রে ৩.১ ক্যালোরি ক্ষয় করে যৌ’ন মিলন। অর্থাৎ এটা দৌড়ানোর মত ভালো ব্যায়াম না হলেও হাঁটার চাইতে ভালো ব্যায়াম।
নারীর মিল আনন্দের উৎস:
নিজের প্রেমিক নয়, এমন কারো সাথে মিলনে যথেষ্ট পরিতৃপ্তি পান না নারীরা। অন্য আরেকটি গবেষণায় দেখা যায়, নারীদের অরগ্যাজম বা শীর্ষসুখ সম্ভবত পা থেকে শুরু হয়।
মিলনে হরমোনের প্রভাব:
শরীরে পরিমাণ এবং উপস্থিতির উপরে মিলনে আগ্রহ অনেকটাই নির্ভর করে। দেখা যায়, নারীদের ওভিউলেশন বা ডিম্বপাতের সময়ে তারা মিলনে বেশি ইচ্ছুক থাকেন। তবে এটা সেসব নারীর জন্য বেশি প্রযোজ্য যারা কোন সম্পর্কে জড়িত নন। যেসব নারী ইতোমধ্যেই সম্পর্কে রয়েছেন বা বিবাহিত, তাদের ক্ষেত্রে মিলনে হরমোনের ভূমিকা কম।
পুরুষের শুক্রাণু আটকে দেবে বার্থ কন্ট্রোল পিল:
নারীরা জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য পিল ব্যবহার করে থাকেন। এবার এমন একটি পিল আসছে যা পুরুষ গ্রহণ করতে পারবে এবং এতে তার শুক্রাণু নির্গমন বাধাগ্রস্ত হবে এবং গর্ভধারণ প্রক্রিয়া রোধ হবে।
যৌ’নরোগ সম্পর্কে প্রচলিত ৫ টি ভুল ধারণা
যৌ’নরোগ নিয়ে অনেকের মধ্যেই অকারণ ভীতি করে। এটি নিয়ে মানুষের অজ্ঞতা ও অকারণে লজ্জা এর কারণ। এই সংকোচ থেকে অনেকেই যৌ’নরোগের উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও গোপন রাখেন। যা এক সময় বড় শারিরীক সমস্যার কারণ হয়ে উছে। চিকিৎসকরা বলছেন, যৌ’নরোগ থেকে ক্যান্সার, অন্ধত্ব, সন্তানের জন্মগত ত্রুটি এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই এ সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি।
সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি গবেষণায় পাওয়া তথ্য বলছে, পৃথিবী জুড়েই বাড়ছে যৌ’নরোগের প্রকোপ। প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে অন্তত ২ কোটি মানুষ যৌ’নরোগে আক্রান্ত হন। এদের মধ্যে প্রায় ১ কোটি আক্রান্তের বয়স ১৫ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।
১. এইচপিভি (HPV) বা হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস এমন এক ধরনের ভাইরাস যা যৌ’ন সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ায় এবং বেশ কয়েক ধরনের ক্যান্সারের জন্য দায়ী। অনেকের মধ্যে এই ভাইরাস কোনো উপসর্গ ছাড়াই বছরের পর বছর থাকতে পারে।
২. নিরাপদ শারী’রিক সম্পর্কের জন্য কনডম ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হলেও তা ১০০ ভাগ সুরক্ষিত নয়। সাধারণত তরলের মাধ্যমে ছড়ায় এমন সব যৌ’নরোগ থেকে কনডম সুরক্ষা দিতে পারে। যেমন, গনোরিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া বা এইচআইভি। কিন্তু ত্বকের সংস্পর্শে ছড়ায় এমন সব যৌ’নরোগ যেমন সিফিলিস, হার্পিস এবং এইচপিভিকে আটকাতে কনডম তেমন কার্যকরী নয়।
৩. বেশিরভাগ মানুষের ধারণা হল, শুধুমাত্র শারী’রিক সম্পর্কের মাধ্যমেই যৌ’নরোগ ছড়ায়। কিন্তু বাস্তবে যৌ’নরোগ সম্পর্কে এটি হল সবচেয়ে বড় ভুল ধারণা। হার্পিস বা জেনিটাল ওয়ার্ট ত্বকের সংস্পর্শের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।
৪. বেশির ভাগ যৌ’নরোগই উপযুক্ত চিকিৎসায় পুরোপুরি সেরে ওঠে। কিন্তু চিকিৎসায় অবহেলা করলে তা ভবিষ্যতে এইচআইভির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে যাঁদের সিফিলিস, গনোরিয়া বা হার্পিস হয় তাঁদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি অনেকটাই বেশি।
৫. যৌ’নাঙ্গ থেকে বীর্য নিঃসৃত হওয়া, জ্বালা ভাব, শারী’রিক সম্পর্কের সময়ে ব্যথা বা রক্তপাত, তলপেটে ব্যথা, মলদ্বার সংক্রমণ… এই সব উপসর্গের কোনোটি দেখলে অবশ্যই যৌ’নরোগের পরীক্ষা করান, চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। কারণ, এগুলি যৌ’নরোগের প্রধান কিছু উপসর্গ।
নিয়মিত শা’রীরিক সম্পর্কে জড়িত থাকলে বছরে অন্তত একবার পরীক্ষা করান উচিত।
Realted Tag:
Marketa Vondrousova Wimbledon Shoe Brush Body Pillows Pillow Cubes Purple Pillow Sanitation Towel Superfeet Insole The Woman king Showtimes Top Women Boxers in the World Electric toothbrush charger Artificial Grass for Dogs Flare Leggings 4K Laptops