



সবচেয়ে তাড়াতাড়ি মেদ জমে কিন্তু পেটেই। আবার সবচেয়ে দেরিতে ঝরে পেটের মেদ। সারাদিন জিম আর যোগাসন করেও পেটের মেদ কমানে কিছুতেই। কিন্তু আপনার হাতের মুঠোয় এমন সব পানীয় রয়েছে, যা খেলে মেদ কমে যাবে ম্যাজিকের মতো!




স্থূলতা কমাতে হলে সবথেকে বেশি সমস্যা হয় পেটের মেদ ঝরানোর ক্ষেত্রে। সব জায়গার মেদ ঝরে গেলেও পেটের মেদ যেন কিছুতেই কমতে চায় না। আর তার জন্য সারাদিন চলে নানা প্রচেষ্টা।
পেটের এই বিচ্ছিরি চর্বি কমাতে সারা দিন ব্যায়ামের পাশাপাশি রোজ সকালে খালি পেটে পান করুন এই পানীয়গুলো। রোজ যদি এক গ্লাস করে এই পানীয় রাখেন বিশ্রি মেদ যেমন কমবে, তেমনই আবারও একবার মেদ জমার আশঙ্কাও কমবে। সারা শরীরে মেদ নেই অথচ পেট-কোমরে মেদের পরত কারই বা ভালো লাগে বলুন?




এই প্রতিবেদনে রইল চমৎকার কিছু পানীয়। দামী নয়, খেতেও সুস্বাদু। মেদ ঝরানোর পাশপাশি ওজন কমাতেও সহায়ক বলে প্রমাণিত। সকালের জলখাবারে পান করলে ভালো ফল পাবেন।




গাজরের জুস
গাজরের রস পুষ্টি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা প্রতিদিনের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে। এটি একটি কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত সবজি, যা হজমে সাহায্য করার পাশাপাশি ওজন কমাতে সাহায্য করে। NCBI-তে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, ৬ সপ্তাহের জন্য মাত্র 50ml কাঁচা গাজরের রস খাওয়ার খেলে ওজন কমে যাবে সহজেই।




বাঁধাকপির জুস
রোজ সকালে বাঁধাকপির রস খেলে পেটে ফোলা এবং বদহজম-সহ অনেক পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জুস আপনার পাচনতন্ত্র পরিষ্কার করার পাশাপাশি এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। প্রকৃতপক্ষে, এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখে।




বিটের জুস
ওজন কমাতে বিটের রস উপকারী। বিটকে পুষ্টির পাওয়ার হাউস হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই সবজিতে ক্যালোরি কম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা ওজন কমানোর যাত্রাকে সহজ করে তুলতে পারে। MHA-এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, খাবারের পর ১ গ্লাস বিটের রস খেলে বাড়তে থাকা মেদ নিয়ন্ত্রণ হবে সহজেই।




পালং শাকের জুস
পালং শাক একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ শাক-সবজি যা শীতকালে পাওয়া যায়। এর নিয়মিত সেবন করলে রোগ-ভোগ সহ কন্যাসেরর মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি কমে। সেই সঙ্গে পালং শাকে কম ক্যালরি রয়েছে। যা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। আপনি যদি স্থূলতার সমস্যায় ভোগেন, তাহলে প্রতিদিন পালং শাকের রস পান করা আপনার জন্য স্বাস্থ্যকর প্রমাণিত হতে পারে।




লাউয়ের জুস
লাউয়ের রসে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার থাকে। এই সবজিটি যেমন খাবার হজম করে তেমনই শরীরে শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। প্রতিদিনের ডায়েটে এটি অন্তর্ভুক্ত করা আপনার ওজন কমানোর যাত্রাকে সহজ করে তুলতে পারে।




ডিসক্লেইমার: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনওভাবেই কোনও ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।



