পেটের আলসার নিয়ে অনেকের মনে নানা ভুলভ্রান্তি রয়েছে। সঠিক তথ্য না থাকায় রোগ থেকে যাচ্ছে অন্তরালে। এক্ষেত্রে কী কী লক্ষণ থাকে? গ্যাস, অ্যাসিডিটি কার উপসর্গ? সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক।
পেটের সমস্যায় ভুক্তোভাগী বাঙালির সংখ্যা নেহাত কম নয়। এই অসুখে ভুগতে ভুগতে বাঙালি বাড়িতে জমে গিয়েছে অ্যান্টাসিডের পাহাড়। তারপরও নেই কোনও উন্নতি। তাই তো এই অসুখ নিয়ে এই রাজ্যবাসীকে আরও ভাবতে হবে। এখন প্রশ্ন হল, এই গ্যাস, অ্যাসিডিটি কেন হয়? এর পিছনে কি রয়েছে স্টমাক আলসার?
বিশেষজ্ঞদের কথায়, গ্যাস, অ্যাসিডিটিতে অনেকেই ভুগছেন। প্রতিদিন এই সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের চেম্বারে ভিড় করছেন অগুনতি। চিকিৎসকের কাছে এলে তাও না হয় সঠিক রোগ চিহ্নিত করা যায়। কিন্তু অনেকেই বিশেষজ্ঞের কাছে যান না। তাঁদের নিয়েই মূল ঝামেলা।
আসলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি নিয়মিত হলে বহু অসুখের আশঙ্কা থাকে। কারণ এটা কোনও স্বাভাবিক বিষয় নয়। বহু ক্ষেত্রেই সমস্যা খুবই জটিল দিকে যেতে পারে। এমনকী ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর্যন্ত আশঙ্কা থাকে। তাই এই রোগ নিয়ে ছেলেখেলা নয় একবারেই।
এই প্রসঙ্গে কলকাতা শহরের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: আশিস মিত্র বলেন, পেটের নানাবিধ অসুখ রয়েছে। এই রোগগুলিকে নিয়ে সাধারণ মানুুষকে সতর্ক হতে হবে। তবেই অসুখ থেকে নিজেকে সুস্থ রাখা সম্ভব।
পেটে আলসার কেন হয়?
ডা: আশিস মিত্রের মতে, সাধারণত দুটি কারণে পেটে আলসার হতে পারে। প্রথমত, অনেকের পেটে বেশি অ্যাসিড তৈরি হয়। অ্যাসিডের এই অতিরিক্ত মাত্রা সহ্য করতে পারে না পাকস্থলী। তখন সেই জায়গায় বা ডিওডিনামে হতে পারে ক্ষত। এর নামই স্টমাক আলসার। অপরদিকে রয়েছে একটি ব্যাকটেরিয়া। এর নাম এইচ পাইলোরি। এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণেও অনেকের পাকস্থলীতে ক্ষত তৈরি হয়। মূলত এই দুটি কারণেই এই সমস্যা তৈরি হয়।
অ্যাসিড, গ্যাসই কি রোগের উপসর্গ?
ডা: আশিস মিত্রের কথায়, অ্যাসিডিটি ও গ্যাস এখন ঘরে ঘরে। এই লক্ষণ দুটি অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন অসুখের দিকে ইঙ্গিত করে। এমনকী পেটের আলসারও হতে পারে। আসলে পেটের আলসার হলে প্রথম দিকে এই উপসর্গগুলি থাকে। তবে রোগ বৃদ্ধি পেতে থাকলে অন্যান্য লক্ষণ দেখা দেয়। এমনই কিছু উপসর্গ হল বমি বমি ভাব, বমি হাওয়া, পেটের মাঝে ব্যথা, খিদে কমে যাওয়া ইত্যাদি। এই উপসর্গে সতর্ক থাকার চেষ্টা করুন।
রোগ নির্ণয় প্রথমেই জরুরি
এই অসুখ ঠিক সময়ে চিহ্নিত না করতে পারলে সেই অংশে ক্ষত বাড়তে পারে। এমনকী জায়গাটা ফুটো হয়ে যেতে পারে। তাই চেষ্টা করুন যত দ্রুত সম্ভব এই অসুখকে চিনে নেওয়ার। এক্ষেত্রে প্রথমেই, রোগীর অভিযোগ শোনা হয়। এর মাধ্যমে রোগ আন্দাজ করা হয়ে থাকে। তাছাড়া প্রয়োজনে দেওয়া হতে পারে এন্ডোস্কোপি টেস্ট। এক্ষেত্রে মুখ থেকে একটা নল ঢুকিয়ে পাকস্থলীর ছবি তোলা হয়। খুব সহজেই এই টেস্ট করা যায়। তাই অযথা ভয় পাবেন না।
ওষুধই ভরসা
ডা: আশিস মিত্রের কথায়, এই রোগের নেপথ্য কারণ অ্যাসিডিটি হলে দেওয়া হয় সাধারণ কিছু ওষুধ। দেখা গিয়েছে অ্যাসিডিটির ওষুধ খেয়েই বেশিরভাগ রোগী ঠিক হয়েছেন। তবে ব্যাকটেরিয়া থেকে সমস্যা হলে দিতে হয় অ্যান্টিবায়োটিক। এই ওষুধের নির্দিষ্ট ডোজ রয়েছে। চিকিৎসক সবদিক বুঝেশুনে এই ওষুধ দিয়ে থাকেন। তাই নিজে থেকে কিনে খেতে যাবেন না। একটু মেনে চললেই এক্ষেত্রে রোগী ভালো হয়ে যান।।
খাওয়াদাওয়া নিয়ে কিছুদিন সাবধান
এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চলুন-
সহজপাচ্য খাবার খান
তেল, ঝাল, মশলা এড়িয়ে যান
বাইরের খাবার একদম নয়
মদ্যপান, ধূমপান ছেড়ে দিন
চা, কফি কমাতে হবে।
এই কয়েকটি নিয়ম মানতে পারলেই ভালো থাকবেন জানালেন ডা: আশিস মিত্র।
Realted Tag:
Marketa Vondrousova Wimbledon Shoe Brush Body Pillows Pillow Cubes Purple Pillow Sanitation Towel Superfeet Insole The Woman king Showtimes Top Women Boxers in the World Electric toothbrush charger Artificial Grass for Dogs Flare Leggings 4K Laptops