



বাবা মা ছেলে মেয়েকে কখনো ভালোবেসে বুঝিয়ে আবার কখনো ধমক দিয়ে নম্র, ভদ্র বানানোর চেষ্টা করে থাকেন।
এখানে কিছু উপায় দেওয়া হল যারা সন্তানকে বিনম্র করে তোলার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সাহায্য করবে।মা-বাবার দেখাদেখি বাচ্চারা অনেক কিছু শিখে থাকে।




তারা যদি মা-বাবাকে কারো সঙ্গে কঠোর ভাবে কথা বলতে দেখে, তাহলে তারা নিজের অজান্তেই সেই ব্যবহার অভ্যস্ত হয়ে পড়বে। তাই এক্ষেত্রে সর্বপ্রথম অভিভাবকদের মধ্যে পরিবর্তন আনা জরুরি। প্রথমে নিজে নম্র আচরণ করুন ধৈর্য ধরতে শিখুন। আপনাদের দেখাদেখি সন্তান ও তাই করবে।




এখন প্রত্যেকে নিজ নিজ জীবনে ব্যস্ত। অন্যের সাহায্য করার প্রবণতা অনেকের মধ্যেই কমে গেছে। তাই নিজের সন্তানকে অন্যকে সাহায্য করতে শেখান, ফলে তাদের মনে বিনম্রতার সঞ্চার হবে। অন্যকে সাহায্য করলে মানসিক শান্তি লাভ করা যায় তাদের এই স্বভাব ভবিষ্যতে সাহায্য করবে।




সন্তানকে ভালো ব্যবহারের শিক্ষা ও মা-বাবাকেই দিতে হবে। কোন ভুল করে থাকলে তা স্বীকার করতে শেখান। এর ফলে তারা মিথ্যা কথা বলা ও নিজের ভুল অন্যের ওপর আরোপ করার অভ্যাস ত্যাগ করবে। সন্তানকে ভুল স্বীকার করতে এবং ক্ষমা চাইতে সেখানে তাদের স্বভাবকে নমনীয় করবে।




অহংকারের মনোভাব বাচ্চাদের মানসিকতার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। অহংকার এর ফলে তাদের মনে নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা আসে। তাই বাচ্চাদের মনে অহংকার জন্মাতে দেবেন না। আমার সন্তানের মনে অহংকার থাকলে তাকে অন্যের সঙ্গে মেলামেশা করতে শেখান। এর ফলে বন্ধুত্ব গড়ে উঠবে এবং তারা অন্যকে বোঝার চেষ্টা করবে।




মহাপুরুষদের জীবনের অনুপ্রেরণা মূলক কাহিনী শুনিয়ে ও সন্তানের মনে নম্রতার সঞ্চার করতে পারেন। এ ধরনের কাহিনী বাচ্চাদের উৎসাহিত করে এবং তারা সেই মহাপুরুষদের নিজের আদর্শ করে জীবনে এগিয়ে যেতে চাইবে। এর ফলে ধীরে ধীরে বাচ্চাদের মনে পরিবর্তন দেখা দেবে।নিজের প্রশংসা শুনতে কে না ভালবাসে। আপনার সন্তানও নিজের প্রশংসা শুনে গর্ববোধ করে। কিন্তু এর পাশাপাশি অন্যের প্রশংসা করা ও জরুরি। এর ফলে আপনার সন্তানের প্রতি সকলের আকর্ষণ বাড়বে এমনকি সন্তানের মনে বিনম্রতার সঞ্চার হবে।




বাচ্চাদের মনে বিনম্রতার ধারণা সৃষ্টি করার জন্য পরস্পরের সঙ্গে মিলেমিশে থাকা অত্যন্ত জরুরী। এর ফলে বাচ্চাদের একাগ্রতা বৃদ্ধি পাবে এবং ধৈর্য ও বিনম্রতার বিকাশ ঘটবে। অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে নিজের সন্তানকে ও বাহিরে খেলতে যেতে দিন। তাদের মেলামেশার পরিসর বাড়বে এবং তারা মিশুকে হয়ে উঠতে পারবে।প্রত্যেকটি মা বাবা সন্তানকে নিজের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানান। বড়দের সম্মান করা, অন্যের সাহায্য করা, দরিদ্র ও অসহায়দের দান করা ইত্যাদি করতে শেখান সন্তানকে। এটি বাচ্চাদের নম্র, ভদ্র ও সভ্য করে গড়ে তুলবে।




সব পিতা-মাতারই উচিত সন্তানদের এই পাঁচটি ভাল অভ্যাস শেখানো।বাড়িতে একটি শিশু থাকা মানেই সারা ঘরে খুশির জোয়ার বয়ে যাওয়া। পরিবারের সদস্যের আনন্দ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয় ঘরে থাকা ছোট্ট শিশুটি। আর মা-বাবা দুজনেই যদি কর্মরত হন তবে তো কথাই নেই। সেই ঘরে বাচ্চার আদর চার গুণ বেড়ে যায়। বাচ্চা যখন যা আবদার করে মা বাবা তাই সামনে এনে হাজির করেন। শাসন কি জিনিস বাচ্চা তার কিছুই বুঝে না।




১। ছোট বয়সে সব ঠিক থাকলেও সমস্যাটা একটু বড় হতে বোঝা যায়। বাচ্চা যখন বিগড়ে যেতে শুরু করে তখন বাড়ির লোক বোঝেন কি ভুলটাই না করেছেন। আপনিও যদি এমন করে চলেন তাহলে তা বন্ধ করুন। বাচ্চাকে সঠিকভাবে মানুষ করা টা বেশি দরকার। তাই তাকে সঠিক আচার-আচরণ শেখান। আজকাল সব বাবা-মা রায় বাচ্চাকে কয়েকটি ভদ্রতা শেখাতে ভুলে যান যা মোটেও সঠিক নয়। চারচাকা অবশ্যই নিচের পাঁচটি অভ্যাস সেখাতেভুলবেন না।




২। অন্যের কথা শুনতে শেখান। অনেক বাচ্চার প্রচুর কথা বলে অন্যের কথা শুনে না। সব সময় আলাপচারিতা যে দু’পক্ষের হয় তার শিক্ষা দিন।৩। বাচ্চাকে অন্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে শেখান। একা বড় হওয়ার জন্য অনেক বেশি লজ্জা ভাব দেখা যায়। এটা দূর করানো অভিভাবকের কাজ। তা না হলে সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়বে। এক্ষেত্রে কারো সঙ্গে দেখা হলে কিভাবে কথা শুরু করবে সেই শিক্ষা দিন। বাকিটা সে নিজে শিখে যাবে।




৪। বাচ্চাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন এর শিক্ষা দিন। কেউ কিছু উপহার দিলে বা কোন কিছু সাহায্য করলে ধন্যবাদ বলতে বলুন। এই ভদ্রতা ছোট থেকে শেখা খুবই দরকার।৫। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে মাসে দুবার রেস্তোরাঁ, বন্ধুয়া পরিজনদের সঙ্গে গেট টুগেদারের আয়োজন হয়ে থাকে। এমন জায়গায় কেমন আচরণ করা উচিত তার শিক্ষা দিন।




আজকাল সবাই ফোনের উপর ভরসা করেন। তা কারো খবর নিতে হোক কিংবা জরুরী কাজে। বাচ্চাদের হাতে ও ছোট থেকে মোবাইল রয়েছে। এর ফোনে কিভাবে কথা বলতে হয় বাচ্চাকে শেখান। কেউ ফোন করলে কেমন করে উত্তর দিতে হয়, কিংবা নিজের কোথাও ফোন করলে কিভাবে কোন টোনে কথা বলতে হয়, শিক্ষা দিন। এটাও একটা ম্যানার্স এর মধ্যে পড়ে।ছোটবেলা থেকেই আপনার সন্তানকে যেসব সামাজিক দক্ষতা শেখাবেন
জীবনে সফল হতে চাইলে এবং পারস্পরিক সম্পর্কের মজবুত করতে চাইলে সামাজিক দক্ষতা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। শিশুকাল থেকেই এ দক্ষতার চর্চা করতে হবে। জেনে নিন শিশুকে কোন সামাজিক দক্ষতাগুলো গুরুত্ব দিয়ে শেখাবেন।
সম্ভাষণঃ সম্ভাষণ এবং অভিবাদন জানাতে শেখান শিশুকে। বাড়িতে অতিথি আসলে কুশল বিনিময় করতে বলুন।বন্ধুঃ বন্ধুদের সঙ্গে খেলনা ভাগ করে একসঙ্গে খেলতে দিন।গল্পঃ গল্প করার পাশাপাশি অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা জরুরী। শেখান এ বিষয়টিও।সাহায্যঃ অন্যকে সাহায্য করতে শেখানো বড় দলের সঙ্গে কাজ বা খেলা করতে উৎসাহিত করুন।ধৈর্যঃ শিশু কিছু চাইলে সাথে সাথে দিয়ে দিবেন না। তাকে ধৈর্য ধরতে শেখো জীবনের সবকিছুতেই ধৈর্য ধরা জরুরি।



