Type 2 Diabetes Symptoms: ডায়াবিটিস একটি গুরুতর অসুখ। এই রোগে আক্রন্ত হলে বহু অঙ্গের ক্ষতি হয়। তাই প্রথমেই রোগ ধরতে পারলে ভালো। এই পরিস্থিতিতে ডায়াবিটিসের উপসর্গ জানালেন চিকিৎসক।
ডায়াবিটিস রোগটি এখন বাড়তে শুরু করেছে। এই দেশের বহু মানুষ এই অসুখে আক্রান্ত। তবে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, একটা বড় অংশের মানুষ জানেনও না যে তাঁদের শরীরে এই অসুখ রয়েছে। তাই ডায়াবিটিসের লক্ষণ জানা সবথেকে বেশি জরুরি।
এবার মাথায় রাখতে হবে যে সুগার রোগটি হলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ে। এর থেকে নানা অঙ্গে ক্ষতি হয়। এই তালিকায় চোখ, কিডনি, নার্ভ ইত্যাদি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সতর্ক থাকাটা সবথেকে বেশি জরুরি। তবেই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
এই প্রসঙ্গে কলকাতা শহরের বিশিষ্ট ডায়াবিটিস বিশেষজ্ঞ ডা: উৎস বাসু বলেন, আসলে ডায়াবিটিসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন খুবই বেড়েছে। আপনি এখন প্রায় প্রতি বাড়িতেই এই অসুখে আক্রান্ত রোগী পাবেন। আসলে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খাওয়ার চল থাকায় ভারতে এই অসুখ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও অন্যান্য কারণ তো রয়েছেই। তাই ডায়াবিটিস রোগীদের ডায়েটে মন দিতে হবে।
তিনি আরও জানান, করোনার পর থেকেই মূলত এই অসুখ বাড়তে শুরু করেছে। এই সময়ে হুট করে অনেকে আক্রান্ত হয়ে যান সুগারে। তাই সতর্ক থাকাটা খুবই জরুরি।
১. ডায়াবিটিসের লক্ষণ
ডা: উৎস বাসু বলেন, আসলে আপনাকে ডায়াবিটিসের উপসর্গ সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে-
ওজন অস্বাভিক কমে যাওয়া
খুব তৃষ্ণা পাওয়া
খিদে বেড়ে যাওয়া
কাজ করতে ভালো না লাগা
চোখে কম দেখা
বারবারই ইউরিন ইনফেকশন
রাতে অহরহ প্রস্রাব পাওয়া ইত্যাদি।
তবে বলে রাখা ভালো, অনেকের কিন্তু কোনও লক্ষণই থাকে না। তাই টেস্ট হল জরুরি। পরীক্ষার মাধ্যমেই রোগ ধরা পড়তে পারে। এই বিষয়টি মাথায় রাখুন।
২. কেন হয়?
ডা: উৎস বাসু বলেন, নানা কারণে এই অসুখ হতে পারে। তবে দেখা গিয়েছে যে বাড়িতে বাবা বা মায়ের ডায়াবিটিস থাকলে, অন্য কোনও অসুখ যেমন থাইরয়েড, হাই প্রেশার ইত্যাদি থাকলে ব্লাড সুগারের ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া মহিলাদের ৩০ বছর পেরলে এবং পুরুষের ৪০ পেরলেই এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি। এবার এই অসুখ প্রথমেই ধরে ফেলতে হবে। অন্যথায় জটিলতা কয়েকগুণ বাড়তে পারে। ফলে প্রথমেই সচেতন হয়ে যান।
৩. কী টেস্ট?
ডা: উৎস বাসু বলেন, এখন ৩০ বছরের নীচেও টাইপ ২ ডায়াবিটিস দেখি। তবে টেস্টের হিসাবে বললে ৩০ পেরলে মহিলারা ও পুরুষ মানুষ ৪০ পেরলে বছরে একবার সুগার টেস্ট করুন। এক্ষেত্রে আগে ফাস্টিং ও পিপি সুগার টেস্ট করতে বলা হতো। তবে এখন এককদম এগিয়ে গিয়ে অন্য একটি টেস্ট দেওয়া হয়। এই টেস্টের নাম এইচবিএ১সি। এই টেস্টের মাধ্যমে ৩ মাসের গড় সুগার পাওয়া যায়। এই তিনটি পরীক্ষার মধ্যে কোনও একটি অস্বাভাবিক হলেই রোগীকে ডায়াবিটিক বলা চলে।
৪. চিকিৎসা কী?
ডা: উৎস বাসু বলেন, আগে ডায়াবিটিসের চিকিৎসা মানে ছিল সুগার কন্ট্রোল। এখন অবশ্য সেই ধারণা বদলেছে। বর্তমানে ডায়াবাটিস রোগীর অঙ্গের খেয়াল রাখতে হয়। তাই ওষুধগুলি সুগার ঠিক রাখার পাশাপাশি অঙ্গের খেয়াল রাখে। মানুষ সহজেই ভালো থাকেন। আবার এখন এমন অনেক ওষুধ এসেছে যা দীর্ঘসময় কাজ করে। এছাড়া মাথায় রাখতে হবে যে কিছু এমন ইনসুলিন এসেছে যা ব্যবহারে ব্যথা হয় না। তাই একটা বিরাট উন্নতি হয়েছে। এটা মাথায় রাখতে হবে।
৫. লাইফস্টাইল বদল
এই রোগীদের কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে হবে। সেক্ষেত্রে বাইরের খাবার ছাড়ুন। তেল, মশলা, নুন, মিষ্টি এড়িয়ে যান। খেতে পারেন শাক, সবজি। এছাড়া ফলও খাওয়া যায়। আর অলস জীবন ছাড়ুন। মোটামুটি দিনে ৩০ মিনিট হাঁটতে হবেই। আরও বেশি সময় ব্যায়াম করলে সবথেকে ভালো হয়। এভাবেই ভালো থাকতে পারবেন অনায়াসে। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই বললেই চলে। এবার এই কথাগুলি মেনে চলুন।
বিদ্র: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Realted Tag:
Marketa Vondrousova Wimbledon Shoe Brush Body Pillows Pillow Cubes Purple Pillow Sanitation Towel Superfeet Insole The Woman king Showtimes Top Women Boxers in the World Electric toothbrush charger Artificial Grass for Dogs Flare Leggings 4K Laptops