



ফুলশয্যা, এই রাতটিই স্বামী-স্ত্রীর একে অন্যকে জানার সুযোগ করে দেয়। তবে ফুলশয্যা নিয়ে কিছু মিথও রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ফুলশয্যায় দুধ পানের রীতি অতি প্রাচীন। আসলে প্রাচীন যুগ থেকেই ভারতীয় কৃষি ও অর্থব্যবস্থায় এবং দৈনন্দিন জীবনে গোদুগ্ধের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।




গরুর দুধকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। অনেক সামাজিক অনুষ্ঠানেই তাই গরুর দুধের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়।




আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের ব্যাখ্যা, ফুলশয্যার রাত হলো স্বামী-স্ত্রীর প্রথম মিলনের রাত। সেই মিলনকে আরো আনন্দময় ও স্মরণীয় করে রাখতেই দুধ পান করেন বর। প্রাচীন আয়ুর্বেদ গ্রন্থ ‘অষ্টাঙ্গ সংগ্রহে’র ‘ক্ষীর বর্গ’ নামক অধ্যায়ে বলা হচ্ছে, দুধ হলো ‘বৃশ্য’ বা কামোদ্দীপক, অর্থাত্ কামেচ্ছা ও কামশক্তি বৃ্দ্ধি করতে সহায়ক।




>> ভারতীয় উপমহাদেশের বিয়ের একটা বিশেষ রীতি রয়েছে। উত্তর ভারত-সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ফুলশয্যার রাতে জাফরান-দুধ দেওয়ার একটা রীতি চলে আসছে। এই রীতি আছে বাংলাদেশেও।




>> এই রীতির পেছনে রয়েছে সঙ্গত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। জাফরান মেশানো এই দুধে থাকে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন যা শরীরের সেক্স হরমোনগুলোকে উদ্দীপিত করে। টেস্টস্টেরন, ইস্ট্রোজেনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়।




>> প্রথম রাতে স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে মিলনের ইচ্ছা বাড়াতেই এমন রীতি চলে আসছে।
সূত্র: নিউজ বাংলা ১৮, ডেইলি হান্ট



