Toxic Mother in Law Signs: বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় একজন মহিলাকে। শাশুড়ির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে হয়। শাশুড়ি যদি উঠতে বসতে কথাই শোনান, তাহলে কীভাবে সামাল দেবেন?
Tips For New Married Woman: বিয়ে শুধুই দুজন মানুষের মধ্য়ে সম্পর্ককে গাঢ় করে না, ভারতীয় সমাজব্যবস্থায় বিবাহের পর দুই পরিবারের মধ্য়েও সম্পর্কের বাঁধন মজবুত হয়। বিয়ের পর পুরুষদের জীবনও যেমন পরিবর্তন হয়, একইভাবে মহিলাদের জীবনেও থাকে এর প্রভাব। বিয়ের পর মহিলাদের শ্বশুরবাড়িতে এসে সংসার শুরু করতে হয়। তখন স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কেও যেমন মন দিতে হয়, এদিকে শ্বশুরবাড়ির সবার সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো রাখার দায়িত্ব থাকে তাঁর উপর।
কিন্তু বেশিরভাগ মহিলারই এই অভিযোগ থাকে যে, শ্বশুরবাড়িতে তাঁরা মানিয়ে নিতে পারছেন না। তার যথেষ্ট কারণও আছে। যাই হোক, অনেকেরই শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্ক বেশ ভালো হয়। কিন্তু অনেক মহিলাই শাশুড়ির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন না। শাশুড়ি নানা কথা শোনাতে থাকেন। আপনিও কি এমন পরিস্থিতিতেই আছেন? (প্রবন্ধে ব্যবহৃত সব ছবি প্রতীকী, সৌজন্য – istock)
শাশুড়ি নানা কথা শোনাতে থাকেন
অনেকে মহিলাই এই অভিযোগ করেন যে, তাঁদের শাশুড়ির সঙ্গে সম্পর্ক একদমই ভালো নয়। ছোট ছোট বিষয় নিয়েও বাড়িতে বড় অশান্তির সৃষ্টি করেন শাশুড়ি। আপনার ক্ষেত্রেও কি বিষয়টি সেরকমই? তাহলে সব সময় চুপ করে থাকার কোনও প্রয়োজন নেই।
বরং, খুব ঠান্ডা মাথায় সুস্থভাবেই এই ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারেন আপনি। সব সময় অতিরিক্ত চিন্তা না করলেও হবে। আপনি এই বিষয়টি খেয়াল রাখবেন যে, আপনার এবং শাশুড়ির মধ্য়ে যেন একটি পরিসীমা অবশ্য়ই থাকে।
কী দেখে সতর্ক হবেন?
সব শাশুড়ি খারাপ হন না। অনেকেই পরিবারের নতুন সদস্যের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তা হয় না। আপনার শাশুড়ি টক্সিক কিনা, কীভাবে বুঝবেন?
তিনি আপনার মতামতকে গুরুত্ব দেন না।
আপনার চিন্তাভাবনা এবং ইমোশনের কোনও দাম নেই।
আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে দেন না। সব সময়ই নিজের মতামত চাপিয়ে দিতে চান।
আপনাদের ব্যক্তিগত জীবনে সব সময়ই হস্তক্ষেপ করেন।
আপনার কোনও বিষয় নিয়ে ঠাট্টা করেন।
কীভাবে সামাল দেবেন পরিস্থিতি?
আপনার শাশুড়ি যদি উঠতে বসতে আপনাকে কথা শোনাতেই থাকেন, তাহলে আপনারও এবার উপযুক্ত পদক্ষেপ করা প্রয়োজন। কিন্তু সেই জন্য কি আপনাকে দুটো কথা শোনাতে হবে? না, পরিস্থিতি যেন কখনও সেরকম স্থানে না জায়গায়। বরং, প্রথমেই নিজেদের স্পেসে একটি সীমারেখা টানুন।
আপনি নিজেও সেই সীমারেখা মেনে চলুন। শাশুড়িমাকেও সেই কথা বুঝিয়ে দিন যে, এই সীমারেখা যেন তিনি কোনওভাবেই অতিক্রম না করেন। আপনি যেমন তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করবেন না, তিনিও যেন না করেন।
এই টিপস সঙ্গে টিপস রাখুন
তিনি ছোট ছোট বিষয় নিয়েই অশান্তি শুরু করে দেন কি? তাহলেও আপনার সামান্য সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এই ধরনের পরিস্থিতিও আপনাকে বুদ্ধির করে সামাল দিতে হবে। ছোট ছোট বিষয় অশান্তি শুরু হলে প্রথম কয়েকদিন আপনি তা এড়িয়ে যেতেই পারেন। কিন্তু সব সময় তা সম্ভব হয় না। তাই এক সময় পরে অনেকের ধৈর্য্যচ্যুতি হয়। তখন সম্পর্কে তিক্ততা বাড়ে।
তাই প্রথম থেকেই এই ধরনের পরিস্থিতিকে সামাল দিন। তিনি ছোট ছোট বিষয় নিয়ে অশান্তি শুরু করলে আপনিও তাঁকে বুঝিয়ে দিন যে, এই ধরনের বিষয় আপনার পছন্দ নয়। আপনি তাঁকে সম্মান করেন এবং তাঁর থেকেও একই ধরনের সম্মান আশা করেন।
শেষ পরামর্শ
আসলে, পরিবারের একই সদস্যদের জন্যে আপনারা দুজনেই কেয়ার করেন। তাই কোনও না কোনও স্থানে গিয়ে একে অপরের সঙ্গে মতবিরোধ হয়। এই সময়ে নিজের মেজাজ হারিয়ে ফেলবেন না।
যদি দিনের পর দিন পরিস্থিতি একইরকম চলতে থাকে, তবে একবার আপনার স্বামীর সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করুন। এইসময় খেয়াল রাখবেন, আপনি তাঁর মায়ের নামে কথা বলছেন। তাই সেই কথায় যেন কোথাও অসম্মান না থাকে। ভালোভাবে নিজের খারাপ অভিজ্ঞতা তাঁকে জানান। তিনি বিষয়টি বুঝবেন। দুজনে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করুন।