মাত্র কয়েক মিনিটেই বাড়ি থেকে বিরক্তিকর মাছি ও আরশোলা দূর করার সহজ উপায়

মাছি ব্যাকটিরিয়া এবং নানা ক্ষতিকর জীবাণুর বাহক। কারণ ময়লা, আবর্জনা, নর্দমা, মল-মূত্র ইত্যাদি বিভিন্ন নোংরা জায়গায় তার বসবাস। অথচ এই মাছি উড়ে এসে বসে খাবারের উপরে। আর তাতে সংক্রমিত হতে পারে সবাই। তাছাড়া মাছির ভো ভো শব্দ, আর জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন? কোন ভাবেই তাড়াতে পারছেন না মাছি?

চলুন দেখে নেওয়া যাক বাড়ি থেকে কীভাবে দূর করা যায় মাছি-
ফল, শাক, সবজি ভালোভাবে ধুয়ে রাখুন। অনেক সময় পচনশীল ফলের সঙ্গে লেগে অন্য ফলের উপরিভাগ চ্যাটচ্যাটে হয়ে পড়ে। এমন কিছু চোখে পড়লে সেই ফল ও সবজিগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন। বাড়িতে বেশি পাকা ফল থাকলে তা সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে ফেলুন, সামান্য পচন ধরলেও বাড়িতে না-রেখে তা ফেলে দিন। অধিক পাকা ফল মাছিদের সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে।

বাড়ির বাইরে নোংরা আবর্জনা থাকলে তা ঢেকে রাখুন। ঘন ঘন আবর্জনা সরিয়ে ফেললে মাছির উপদ্রব কমবে। কারণ, মাছি আবর্জনার স্তূপেই ডিম পাড়ে। তাই আবর্জনা জমতে না-দেওয়াই ভালো। আবার বাড়িতে আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিন থাকলেও, সেটিও ঢাকনা দিয়ে রাখবেন।

প্রতিদিন ভালোভাবে রান্নাঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করুন। ফ্রিজের নীচে বা আশপাশে ভালো করে পরিষ্কার করুন, যাতে এখানে কোনও ভাবে খাবার পড়ে না থাকে বা পাকা ফলের রস লেগে মাছিদের আকৃষ্ট করতে না পারে। রান্নাঘরে গ্যাস ওভেনের উপরেও খাবার লেগে থাকে, সেগুলো ভালো পরিষ্কার করুন। এ ছাড়া বাসন মাজার ভেজা স্ক্রাবার, ঘর মোছার কাপড়, রান্নাঘর থেকে দূরে রাখুন।

আরও যে কৌশল বেশি জানা দরকার –
একটি গ্লাসে সামান্য অ্যাপেল সিডার ভিনিগার নিন। এরপর গ্লাসের মুখটি সেলোফেন পেপার দিয়ে মুড়িয়ে দিন। তারপর একটি টুথপিক দিয়ে সেলোফেন পেপারের মাঝেখানে ছিদ্র করুন। মাছি ভেতরে যেতে পারে, তেমন বড় ছিদ্র করুন। লক্ষ্য রাখবেন, ফুটো এমন হবে, যার ম

ধ্য দিয়ে মাছি ঢুকবে কিন্তু বেরোতে পারবে না। ভিনিগারের মিষ্টি গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে ভিতরে ঢুকে আটকে যাবে মাছি। যে স্থানে সবচেয়ে বেশি মাছির আনাগোনা থাকে, সেখানে এটি রাখুন।

মাত্র কয়েক মিনিটেই বাড়ি ছেড়ে পালাবে সব আরশোলা, জেনে নিন সহ’জ উপায়

ঘর-বাড়ি প’রিষ্কার রাখার ক্ষেত্রে কিছু কী’ট-পতঙ্গ আমাদের চিন্তার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যেমন, আরশোলা।রান্নাঘর, বাথরুম বা বারান্দার নানা কোণে আরশোলার উপ’স্থিতি দে’খতে পাওয়া যায়। আরশোলা মূলত বর্জ্য-আবর্জনায় থাকে। তাই জী’বাণু বয়ে বেড়াতে ওস্তাদ। এর পর ঘরের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়ায়, কখনও খাবার-দাবারের উপর।

এতে এর গায়ে থাকা জী’বাণুও ছড়িয়ে পড়ে ঘরে। আরশোলামু’ক্ত ঘর পেতে বাজারচলতি নানা রাসায়নিক স্প্রে-র উপর নির্ভর করেন অনেকেই। কিন্তু সে সব রাসায়নিকেরও কিছু ক্ষ’তিকর দিক আছে। কিছু ঘরোয়া উপায় মানলে ঘর থেকে আরশোলাকে সরানো যায় দ্রুত।

তেজপাতা – সব চেয়ে সহ’জ ও সস্তা উপায়ে আরশোলা তাড়াতে এর চেয়ে ভাল পদ্ধতি আর নেই। সপ্তাহে কয়েক দিন তেজপাতার গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন ঘরের আনাচে কানাচে, এর গন্ধ আরশোলা সহ্য ক’রতে পারে না। বেকিং সোডার স’ঙ্গে মেশান মধু বা চিনি। মিষ্টির স’ঙ্গে মিশিয়ে তা ছড়িয়ে দিতে পারেন ঘরে। মিষ্টির গন্ধে আরশোলা সেই খাবারে আকৃষ্ট হবে ও বেকিং সোডার প্রকোপে মা’রাও পড়বে।

বোরিক পাউডারের স’ঙ্গে আটা বা ময়দার গুঁড়ো মিশিয়ে ছড়িয়ে দিন ঘরের চারপাশে। মা’রা পড়বে আরশোলা। ঘর মোছার জলে কয়েক ফোঁটা লেবুর র0.সদিয়ে ঘর মুছুন, আপনার ঘর হবে পোকামাকড়মু’ক্ত। আরশোলা তাড়াতেও একই টোট’কা ব্যবহার ক’রতে পারেন।

বোরিক অ্যাসিডের স’ঙ্গে চিনি মিশিয়ে সেই মি’শ্রণ ব্যবহার করুন। এতে শুধু আরশোলা নয়, পালাবে যেকোনও পোকামাকড়। চিনির টানে আরশোলা আসবে আর বোরিক অ্যাসিডের মতো বিষের সংস্প’র্শে এলেই ম’রবে। একচামচ গোলম’রিচ,

কিছুটা রসুন আর অর্ধেক পেঁয়াজ বেটে তাতে এক লিটার জল মেশান।সাবান জলও মেশাতে পারেন এতে। এবার রান্নাঘর ও বাথরুমে ছিটিয়ে দিন ওই মি’শ্রণ। চাইলে ঘর মোছার জন্যও ব্যবহার ক’রতে পারেন। আরশোলা এই মি’শ্রণের গন্ধ সহ্য ক’রতে পারবে না। আর পালাবে আপনার বাড়ি ছেড়ে।