আপনার স্ত্রীকে একটু বেশি ঘুমাতে দিন, তাতে আপনারই মঙ্গল হবে

সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে রান্না ঘরে ঢুকে পড়েন আপনার স্ত্রী! বেড টি নিয়ে হাজির হন! ভালবাসা থাকলে ব্যাপারটা উল্টে দিন। সমীক্ষা বলছে, আপনার চেয়ে তার ঘুম বেশি দরকার।

রাতে এক সঙ্গে শুতে গিয়েছেন এবং ঘুমিয়েছেন। এবার আপনি যদি সকাল ৮টায় ঘুম থেকে ওঠেন, তবে আপনার স্ত্রীর ওঠা উচিত ৮টা বেজে ২০ মিনিটে। এমনটাই বলছে বিজ্ঞান। বলছে, পুরুষের তুলনায় মহিলাদের ২০ মিনিট বেশি ঘুম দরকার। আর এটা বেশি করে দরকার মধ্যবয়স্ক মহিলাদের ক্ষেত্রে। ব্রিটেনের লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় এমনই মত প্রকাশ করা হয়েছে।

তবে এই বেশি ঘুম প্রয়োজনের কারণটা মেয়েদের না জানাই ভাল। গবেষণা বলছে, মেয়েদের মস্তিষ্ক বেশি জটিল, তাই ঘুমও দরকার বেশি। তা ছাড়া মেয়েদের মাথা সারাদিন বেশি খাটে। অন্তত পুরুষদের থেকে বেশি। আবার, অফিসের থেকে বাড়িতে থাকা মেয়েদের মাথা নাকি বেশি খাটে।

গবেষকদের বক্তব্য, ঘুম মস্তিষ্ককে পুনরুজ্জীবিত করে। ঘুমের মধ্যে মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায় আর সেটাই খুব প্রয়োজনীয় চিকিৎসা। দিনের বেলা মস্তিষ্ক যত বেশি কাজ করবে, রাতে ঘুম তত বেশি প্রয়োজন। মেয়েরা একই সঙ্গে অনেক কাজ করেন, অনেক রকম চিন্তা করেন, অনেক বিষয়ে মাথা ঘামান এবং খাটান। আর সেই জন্যই বেশি ঘুম দরকার। অন্তত ২০ মিনিট বেশি।

গবেষকরা জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত ঘুমোতে পারলে মাথা খাটানো এবং ঘামানো আরও ভালভাবে করা যায়। তাই ঠিকঠাক ঘুমনো গিন্নিরা আরও মাথা খাটাতে পারেন। সেটা অন্যের অসুবিধা হলেও তাদের সক্ষমতা বাড়েই।

ছেলেরা তাঁর চেয়ে বয়সে ছোট মেয়েকে বিয়ে করবে, এটাই আমাদের সমাজের স্বাভাবিক রীতি। অসম বয়সের সম্পর্ক আমাদের সমাজে স্বীকৃত। কিন্তু সেক্ষেত্রে পুরুষকে হতে হবে বড়, আর মেয়ে হবে ছোট। উল্টোটা হলে সমাজ ও পরিবার সহজে মেনে নিতে চায় না। কিন্তু তাই বলে কি ব্যতিক্রম হতে পারে না? একজন মেয়ে তার চেয়ে বয়সে ছোট ছেলের প্রেমে পড়তে পারে না? বিয়ে করতে পারে না? হ্যাঁ, অবশ্যই পারে।

তারকা জগতে বয়সে বড় মেয়েকে স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করার ভুরিভুরি উদাহরণ রয়েছে। যেমন- অভিষেক-ঐশ্বরিয়া, সচিন-অঞ্জলি। তবে বাস্তবে তেমনটা খুবই কম হয়। কিন্তু আজকাল আমাদের নিজেদের আশেপাশে একবার লক্ষ্য করলে প্রায়শই এমন উদাহরণ চোখে পড়ে। আজ আমরা এই প্রতিবেদনে জানবো যে বয়সে বড় মেয়েদের বিয়ে করলে কি কি সুবিধা হয়।

১। স্বাভাবিক ভাবেই বয়সে বড় মেয়েরা ছোট বয়সের মেয়েদের তুলনায় অনেক সুন্দরভাবে গুছিয়ে কথা বলতে জানে। যাতে ছেলেরা সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট হয়। এতে করে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালো সম্পর্ক বজায় থাকে।

২। বয়সে বড় মেয়েরা ছোটদের মতো কখনোই কোনো তুচ্ছ বিষয় নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন না। যেটা ছোট মেয়েদের ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা। তাদের কনফিডেন্স ছেলেদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়।

৩। বয়সে বড় মেয়েদের ছেলেমানুষি ছোট বয়সের মেয়েদের তুলনায় কম থাকে। ফলে এই সব মেয়েরা কথায় কথায় ঝগড়াঝাঁটি, কান্নাকাটি বা পাবলিক প্লেসে ভুলভাল আচরণ খুব একটা করেন না। যেটা ছেলেদের কাছে একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে থাকে সবসময়।

৪। বয়সে বড় মেয়েরা বেশির ভাগ সময়ই আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়। ফলে ছেলেদের পকেটে সবসময়ে টান পড়ে না। কিছু সময় মেয়েরা নিজেরাই আর্থিক দিকটি সামলে নিতে পারে।

৫। অনেক পুরুষেরই পছন্দ শারীরিক সম্পর্কে অভিজ্ঞ বা পরিণত মহিলাদের। সেক্ষেত্রে বয়সে বড় মেয়েদের জুড়ি মেলা ভার। তারা শারিরীক সম্পর্কের দিক থেকে বয়সে ছোট মেয়েদের থেকে যে অনেক এগিয়ে থাকে সেটা বলাই বাহুল্য।

৬। বয়সে বড় মেয়েরা অনেক বেশি বুঝদার হন এবং জীবনের প্রতিটি সমস্যা অনেক গুরুত্ব দিয়ে বিচার করে থাকেন। ফলে ছেলেদের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি, খুব সহজেই।

৭। পরিণত বয়সের হওয়ায় এই মেয়েরা কোনো কিছু নিয়েই জীবনে খুব একটা চাপ নেয় না। আর স্বভাবে শান্ত হয়। আর এ ধরনের মহিলাদের অনেক পুরুষই পছন্দ করেন।

৮। আপনার চেয়ে বড় হওয়ায় সে বুঝতে পারে কোনো সম্পর্ক বা সিদ্ধান্তের জন্য ভবিষ্যতে আপনাকে কষ্ট পেতে হতে পারে। ফলে সেটা করে না তারা সহজে।