



অনেক কারণেই ডাস্ট এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষত পরিবারের কারও আগে থেকে অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে বাকি সদস্যদেরও হতে পারে, তবে মনে রাখতে হবে এটি ছোঁয়াচে নয়। অল্প বয়স্ক শিশু, হাঁপানি রোগী এবং গর্ভবতী মহিলাদের এ ধরনের অ্যালার্জি হতে পারে।




ডাস্ট মাইটস বা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধুলার কণা বা পোকা বাতাসে ভেসে চলাচলের সময় নাকে ঢুকে জ্বালা সৃষ্টি করে। যার ফলে চুলকানি, হাঁচি, কাশি হতে পারে। ঘাস বা ফুলের রেণু নাকে প্রবেশ করলে তা থেকেও অ্যালার্জিক রিয়েকশন হয়। আর্দ্র পরিবেশে ডাস্ট মাইটস বেশি থাকে। তাই বাসা বাড়ির পরিবেশ ভ্যাপসা হয়ে থাকলে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।




এর থেকে মুক্তি পেতে যা যা করণীয়- ঘর থেকে বের হলে সবসময় মুখে ঢাকা দেবেন বা মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বাড়ির ফার্নিচারের ধুলা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠার পর এবং ঘুমানোর আগে বিছানা ভালোভাবে ঝেড়ে নিতে হবে। ঘর পরিষ্কার করার সময় নাক মুখ যতটা সম্ভব ভালোভাবে ঢেকে নিতে হবে। প্রতিদিনের ব্যবহার্য কাপড়-চোপড়, চাদর, বালিশ ইত্যাদি মাঝে মাঝে কয়েক ঘন্টা কড়া রোদে দিন।




সপ্তাহে অন্তত একবার বিছানার চাদর, বালিশের কভার পরিবর্তন করতে পারলে ভালো। শোবার ঘরে বইয়ের তাক, ম্যাগাজিন, খবরের কাগজ না রাখা কেননা এগুলোর ওপর সহজেই ধুলা জমতে পারে। ডাস্ট অ্যালার্জি থাকলে বাসায় কার্পেট না রাখাই ভালো। বাসায় লোমশ বা পালকযুক্ত প্রাণী না পোষা উচিত নয়, এসব প্রাণীর শরীরে অ্যালার্জি উদ্রেক করে এমন উপাদান থাকে। ঘরে যাতে আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।



