স্বামীকে হারানোর ভয় নারীদের মনে সবসময় থাকে। নারীদের এই ভয়টা বেশি পাওয়ার পেছনেও যথাযথ কারণ রয়েছে। কারণটি হচ্ছে পুরুষেরা সহজেই পরকীয়ার ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেন। আবার অনেক পুরুষেরই স্বভাবই একাধিক প্রেম করা।
স্বামী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়লে কোনো নারীরই সঠিক জ্ঞান থাকে। রাগ আর ক্ষোভে কোনো না কোনো ভুল করে বসেন। অনেকেই আবার স্বামীকে গালাগালি, চিৎকার চেচামেচি ইত্যাদি করেন। যা একদমই ভুল। কারণ এটি আপনাকে সাময়িক স্বস্তি দিলেও এতে সত্যি কোনো লাভ হয় না।
আপনার স্বামী পরকীয়ায় জড়িয়েছে। এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আপনাকে কয়েকটি বিষয়ে ভাবতে হবে। আপনি কি স্বামীর প্রেমিকার সঙ্গে মুখোমুখি হতে চান? তাহলে তার প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলতে মাথায় রাখুন কিছু জরুরি বিষয়। বিষয়গুলো হলো—
প্রথমত আপনি কি সত্যিই তার মুখোমুখি হতে চাচ্ছেন? আপনি যদি ব্যক্তিগতভাবে তাকে না চিনেন তবে এক বিষয় আর চিনলে ভিন্ন ব্যাপার। ধরে নিন আপনার স্বামী আপনার সঙ্গে যার জন্য বিশ্বাসঘাতকতা করছে সে ইনি নন। মনে করুন তার সঙ্গে কথা বললে আপনার ভালো হবে।
বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নিন। আপনি কি তাকে ফোনে কথা বললে, মেইলে, চিঠি লিখে নাকি সরাসরি দেখা করতে চান? আপনার জন্য ভালো উপায়টিই বেছে নিন।
তার সঙ্গে কথা বলার সময় ধিরস্থির থাকুন। এটি খুব কঠিন তবে তা করার জন্য প্রয়োজনে কয়েক দিন বাসায় শান্ত মেজাজে থাকুন। আপনি যদি চিঠি বা মেইলে জানাতে চান তবে বারবার বিষয়টি লিখুন যে পর্যন্ত না আপনার মনমতো হয়।
কথা বলতে চাইলে নিরপেক্ষভাবে বলুন। পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে ভাবুন তৃতীয় কোনো পক্ষের সঙ্গে আপনি কথা বলছেন।
চিঠিতে লিখে বা কথা বলার সময় নিজের দিকে খেয়াল রাখুন। তাকে দোষ দেয়ার চেয়ে নিজের কথাগুলো বলুন। এমন কোনো প্রশ্ন করবেন না যার উত্তর আপনার জানা আছে।
সে যদি আপনাকে সহযোগিতা না করে বা তার কথা আপনার পছন্দ না হলেও আপসেট হবেন না। সে তার খুশিমত যা ইচ্ছা তা করতে পারে এ ব্যাপারে; আপনি কিন্তু এসব করতে পারেন না। তবে আপনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আপনার নিয়ন্ত্রণ যেন তার কাছে না যায় অর্থাৎ তার কথা বা কাজ যেন আপনাকে প্রভাবিত না করে।
আপনার সব চেষ্টা ভেস্তে গেলে আপনি ভুল করেছেন। না আপনি কাউকে কিছু করাতে জোর করতে পারেন না। সে যদি আপনার সঙ্গে কথা বলতে না চায় এ ব্যাপারে আপনার কিছুই করার নেই।
কাদের পরকীয়া করার প্রবণতা বেশি? যা বলছে গবেষণা
একজনের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোকেই আমরা পরকীয়া বলে থাকি। কারো কারো চোখে পরকীয়া দোষের কিছু নয়, আবার কারো কারো কাছে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ভারতের আইনও বলছে, অন্তত আইনের দিক থেকে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক বা পরকীয়া অবৈধ নয়। আসলে পরকীয়া নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে পরকীয়া কারা করেন? কেনই বা করেন? এই সব প্রশ্নের উত্তর কিন্তু মোটেও সহজ নয়।
স্পেনের করুনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা কিছুটা হলেও আলোকপাত করল, কাদের মধ্যে পরকীয়ার প্রবণতা বেশি সেই বিষয়ে। গবেষক মিগুয়েল ক্লিমেন্টের নেতৃত্বে করা এই গবেষণা বলছে, ‘নারসিসিজম’ রয়েছে এমন মানুষদের বারবার পরকীয়া করার প্রবণতা বেশি। মনোবিজ্ঞানে, নারসিসিজমকে সাধারণত আত্মরতি, নিজেকে মহান ভাবা, অহংকার এবং অন্যদের প্রতি সহানুভূতির অভাব দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
মিগুয়েলের কথায়, ‘‘অন্ধকার ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যযুক্ত লোকেরা সহজে স্বল্পমেয়াদী সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন। এর মূল কারণ, সম্ভাব্য সঙ্গীর থেকে এই ধরনের প্রত্যাশা খুবই কম থাকে। এই প্রবণতা বেশি দেখা যায় পুরুষদের ক্ষেত্রে।’’
৩০৮ জন মানুষের উপর করা এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের গড় বয়স ছিল ১৮ থেকে ২৫। মোট অংশগ্রহণকারীর ৭৮.৩ শতাংশ ছিলেন নারী। পুরুষ ছিলেন শতকরা ২১.২ ভাগ। তবে মনে রাখতে হবে মনোবিজ্ঞান সংক্রান্ত গবেষণা অত্যন্ত জটিল। কাজেই একটি মাত্র সমীক্ষায় ভিত্তি করে কোনো মতামত তৈরি করা বিচক্ষণতার পরিচয় নয়।
Realted Tag:
Marketa Vondrousova Wimbledon Shoe Brush Body Pillows Pillow Cubes Purple Pillow Sanitation Towel Superfeet Insole The Woman king Showtimes Top Women Boxers in the World Electric toothbrush charger Artificial Grass for Dogs Flare Leggings 4K Laptops