বিভিন্ন রঙের প্রায় ১৮ প্রজাতির রঙিন মাছের খামার গড়েছেন ইমরান!

শখের বসে রঙিন মাছ চাষ করে সফল হয়েছেন জয়পুরহাট সদর উপজেলার ইমরান হোসেন। শখের বসে শুরু করলেও বর্তমান তা বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে।

বর্তমানে তার খামারে ৪ লাখ রঙিন মাছ রয়েছে। বাজারে রঙিন মাছের বেশ চাহিদা থাাকায় বিক্রি করে লাববান হচ্ছেন তিনি। রঙিন মাছ চাষে সফলতা দেখে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন।

জানা যায়, লেখাপড়ার পাশাপাশি মাত্র দুটি মাছ চাষ করে বাচ্চা প্রজনন করে এখন তিনি সফল খামারি। গড়ে তোলেন ইমরান অ্যাকোরিয়াম ফিস হাউজ নামে মাছের হ্যাচারি।

তার তিনটি মাছের হ্যাচারি রয়েছে। হ্যাচারিতে গোল্ড ফিস, কমেট, কই কার্ভ, ওরেন্টা গোল্ড, সিল্কি কই, মলি, গাপটি, অ্যাঞ্জেলসহ বিভিন্ন রঙের ১৮ প্রজাতির মাছ রয়েছে।

যেখানে প্রায় ৪ লাখ রঙিন মাছ রয়েছে। বাহারী রঙের এসব মাছ দেখতে আসছে বিভিন্ন এলাকার মানুষ। ইমরানের সাফল্য দেখে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন রঙিন মাছ চাষে।

ইমরান হোসেন বলেন, শখের বসে দুটি মাছ কিনে ছিলাম। এই দুই মাছ থেকে বাচ্চা প্রজনন করে গড়ে তুলি মাছের হ্যাচারি। বর্তমানে আমার মোট তিনটি রঙিন মাছের হ্যাচারি রয়েছে।

আমার হ্যাচারিতে বিভিন্ন রঙের প্রায় ১৮ প্রজাতির মাছ রয়েছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি রঙিন মাছ চাষ করে আমি স্বাবলম্বী হয়েছি।

জয়পুরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরদার মহীউদ্দিন বলেন, রঙিন মাছ চাষ ও এর সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যারা রঙিন মাছ চাষ করছেন তাদের কারিগরি সহায়তা ও দিয়ে আসছি।

আমরা আশা করছি জয়পুরহাট জেলা একসময় রঙিন মাছ চাষের বড় জোন হিসেবে গড়ে উঠবে। এই মাছ চাষের পরিথি আরো বাড়লে যুবকদের বেকারত্বে কমবে এবং সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান।

তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার