নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার মো. নুরুল আলম নোবেল গরু পালনে স্বাবলম্বী হয়েছেন। পড়াশোনায় বেশিদূর এগোতে না পারলেও খামার করে এগিয়েছেন।
উঠেছেন এক নতুন উচ্চতায়। তার সফলতার পেছনে রয়েছে অক্লান্ত পরিশ্রম। তাকে সফল হেত দেখে অনেকেই খামার ব্যবসায় আগ্রহী হয়েছেন।
জানা যায়, দেশে এখন বেশ জনপ্রিয় হয়েছে গরুর খামার। লাভজনক হওয়ায় প্রতিদিনই নতুন নতুন মানুষ যুক্ত হচ্ছে খামার ব্যবসায়।
খামার করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন অনেকেই। মো. নুরুল আলম নোবেল অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই সফল হতে পেরেছেন। অন্যরা তাকে অনুসরণ করে খামার ব্যবসায় যোগ দিচ্ছে।
খামারি নোবেল বলেন, আগে অনেক ব্যবসা করেছি কিন্তু তাতে লাভের মুখ দেখিনি। ২০১০ সালে প্রাথমিকভাবে ৫টি ফ্রিজিয়ান ও অস্ট্রেলিয়ান জাতের ৫টি গরু নিয়ে খামার শুরু করি।
দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে সফল হয়েছি। বর্তমানে আমার খামারে ৩০টি গরু রয়েছে। যার মধ্যে ১৭টি গাভী গরু।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ৮টি গাভী দুধ দেওয়ায় প্রতিদিন প্রায় ১২০ লিটার দুধ সংগ্রহ কতে পারছি। সকাল ও বিকাল দুই বেলা গাভীর দুধ সংগ্রহ করি।
পাইাকাররা প্রতি লিটার ৪০ টাকা দরে দুধ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে প্রতিদিন দুধ বিক্রি করে প্রায় ৫ হাজার টাকা পাই। তবে আগের তুলনায় পশুর খাবার ও ঔষধের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভের পরিমাণ কমে গেছে।
নোবেলের খামার ব্যবসায় সফলতা দেখে অনেক যুবক নিজেদের বেকারত্ব দূর করতে, নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের পাশাপাশি অর্থনৈতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে খামার ব্যবসায় এগিয়ে আসছেন।
তথ্যসূত্রঃ আধুনিক কৃষি খামার